অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের বিষয় স্পষ্ট করলেন ফয়েজ তৈয়্যব

অবৈধ আমদানিকারকদের চক্র ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। এসব বিভ্রান্তিতে কান না দিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে কারও ব্যবহৃত কোনো মোবাইল সেট বন্ধ হবে না। এমনকি দেশের বাইরে থেকে আনা মোবাইল সেটও সচল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে মধ্যরাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর আবার ছেড়ে দেওয়ার কারণ এখনো স্পষ্ট হয়নি। ছাড়া পাওয়ার পর সোহেল এই ভোগান্তির জন্য দায়ী করেছেন সরকারের একজন উপদেষ্টাকে, যদিও তিনি তার নাম উল্লেখ করেননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার পেছনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জড়িত বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এসব বিষয়ে স্পষ্ট করে ফয়েজ আহমদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘একজন সাংবাদিককে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার চলছে আজ সকাল থেকে। সবা

অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের বিষয় স্পষ্ট করলেন ফয়েজ তৈয়্যব

অবৈধ আমদানিকারকদের চক্র ভিত্তিহীন অভিযোগ ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

এসব বিভ্রান্তিতে কান না দিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে কারও ব্যবহৃত কোনো মোবাইল সেট বন্ধ হবে না। এমনকি দেশের বাইরে থেকে আনা মোবাইল সেটও সচল থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব তথ্য জানান ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে মধ্যরাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ১০ ঘণ্টা পর আবার ছেড়ে দেওয়ার কারণ এখনো স্পষ্ট হয়নি। ছাড়া পাওয়ার পর সোহেল এই ভোগান্তির জন্য দায়ী করেছেন সরকারের একজন উপদেষ্টাকে, যদিও তিনি তার নাম উল্লেখ করেননি।

তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার পেছনে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জড়িত বলে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এসব বিষয়ে স্পষ্ট করে ফয়েজ আহমদ তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘একজন সাংবাদিককে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় আমাকে জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার চলছে আজ সকাল থেকে। সবার আগে আমি স্পষ্টভাবে এবং জোরালো ভাষায় বলছি— ওই সাংবাদিককে আটক বা জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় আমার কোনো ধরনের ভূমিকা নেই। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

কেন এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে, সে বিষয়ে এই বিশেষ সহকারী বলেন, ‘এখন কেন হঠাৎ করে এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে— সেই প্রেক্ষাপটটি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

বিটিআরসি সম্প্রতি অবৈধ মোবাইল ফোন আমদানি, চোরাচালান, চুরি, জালিয়াতি এবং শুল্ক ফাঁকি রোধে এনইআইআর চালুর ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশে বৈধভাবে ফোন উৎপাদনকারী বিনিয়োগকারীরা বহু দিন ধরেই এ উদ্যোগ চেয়ে আসছিলেন। আজ দেশে অ্যাপল ছাড়া প্রায় সব বড় বৈশ্বিক ব্র্যান্ডেরই কারখানা রয়েছে।

এনইআইআর ঘোষণার পরপরই অবৈধ আমদানিকারক ও স্মাগলার সিন্ডিকেট বিভিন্ন মার্কেটে বহিরাগত দিয়ে বিক্ষোভ, দেশীয় ব্র্যান্ডের শোরুমে হামলা, কর্মচারীদের হুমকি— এসব তৎপরতা শুরু করে। তারা এনইআইআর নিয়ে অনেক অপপ্রচারও করছে।’

দেশে ব্যবহৃত কোনো মোবাইল ফোন বন্ধ হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, বর্তমানে যে মোবাইল ফোন আপনি ব্যবহার করছেন, সেটি বৈধভাবে কেনা হোক, অবৈধভাবে কেনা হোক বা বিদেশ থেকে আনা হোক— কোনোটিই বন্ধ হবে না। আপনার ব্যবহৃত চলমান হ্যান্ডসেট বন্ধ হয়ে যাবে— এমন আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভুল।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের পর থেকে অবৈধ আমদানিকারকদের মাধ্যমে দেশেই চোরাপথে আনা নতুন হ্যান্ডসেটগুলো বাংলাদেশে নেটওয়ার্কে কাজ করবে না। এর বাইরে সাধারণ ব্যবহারকারীর কোনো ফোন বন্ধ হবে না।’

‘আপনার কেনা হ্যান্ডসেটটি বৈধ বা অবৈধ কি না তার যাচাই আপনি শোরুম থেকে জাস্ট একটি এসএমএসের মাধ্যমে করতে পারবেন। আরেকটি বিষয়, যে কেউ বিদেশ ভ্রমণে নিজের ব্যবহারের ফোনের বাইরে একটি অতিরিক্ত মোবাইল ফোন সাথে আনতে পারবেন।’

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow