আগামী বছরের এপ্রিলে চীন সফরে যাবেন ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে তিনি বেইজিং সফরে যাবেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পর এসব কথা জানান ট্রাম্প। সোমবারের ফোনালাপে ফেন্টানিলের প্রবাহ রোধ, বাণিজ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান ও তাইওয়ানসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন। ফোনালাপের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লেখেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী! চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশই যেন গতিশীলতা ধরে রেখে, সমতা, সম্মান ও পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারে- এ বিষয়ে দুই নেতা একমত হয়েছেন। গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে দুই নেতার বৈঠকের পর তারা শুল্ক নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানিলের প্রবাহ কমাতে যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, সেটি অর্ধেক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে চীনা পণ্যে বিদ্যমান শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে এবং সেগুলোর গড় হার প্রায় ৫০ শতাংশের সামান্য নিচে। চীনা বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে তিনি বেইজিং সফরে যাবেন। একই সঙ্গে ট্রাম্প চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনালাপের পর এসব কথা জানান ট্রাম্প।
সোমবারের ফোনালাপে ফেন্টানিলের প্রবাহ রোধ, বাণিজ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান ও তাইওয়ানসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
ফোনালাপের পর ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে লেখেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী!
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশই যেন গতিশীলতা ধরে রেখে, সমতা, সম্মান ও পারস্পরিক লাভের ভিত্তিতে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারে- এ বিষয়ে দুই নেতা একমত হয়েছেন।
গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে দুই নেতার বৈঠকের পর তারা শুল্ক নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছান। যুক্তরাষ্ট্র ফেন্টানিলের প্রবাহ কমাতে যে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল, সেটি অর্ধেক কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তবে চীনা পণ্যে বিদ্যমান শুল্ক এখনো বহাল রয়েছে এবং সেগুলোর গড় হার প্রায় ৫০ শতাংশের সামান্য নিচে।
চীনা বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র স্থিতিশীল সম্পর্ক ও ইতিবাচক গতিপথ বজায় রেখেছে, যা দুই দেশ ও আন্তর্জাতিক সমাজ উভয়েই স্বাগত জানায়।
ওয়াশিংটন এরপর চীনা পণ্যে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি প্রত্যাহার করে। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীন তাদের সর্বশেষ বিরল খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা পিছিয়ে দেয়।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট জানান, সোমবার শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টার এই ফোনালাপ মূলত বাণিজ্য নিয়েই ছিল। চীনকে নিয়ে যেটুকু আমরা দেখছি, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আর তারাও একই অনুভূতি প্রকাশ করেছে।
বাণিজ্য ছাড়াও ট্রাম্প ও শি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ও তাইওয়ান ইস্যুও আলোচনা করেন। ফোনালাপে শি ট্রাম্পকে বলেন, চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রত্যাবর্তন হলো যুদ্ধ-পরবর্তী আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্য চীনী দৃষ্টিভঙ্গির গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
চীন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক বিরোধে জড়িত । বিশেষ করে তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে দীর্ঘদিনের ‘কৌশলগত অস্পষ্টতা’ ইস্যু কেন্দ্র করে এই উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
এই মাসের শুরুর দিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেন, তাইওয়ানে চীনের যে কোনো হামলা জাপানকে সামরিক প্রতিক্রিয়ায় যেতে বাধ্য করতে পারে। এদিকে, জাপানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জর্জ গ্লাস আগে বলেছিলেন, চীনের ‘জবরদস্তিমূলক আচরণের’ মুখে যুক্তরাষ্ট্র টোকিওর পাশে রয়েছে।
তবে ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে তাইওয়ান প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি।
সূত্র: বিবিসি
এসএএইচ
What's Your Reaction?