আগুনে হতাহতের ঘটনায় হংকংয়ে শোক পালন, গ্রেফতার ১১
হংকংয়ের কয়েকটি বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু হতাহতের ঘটনায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) শোক পালন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ভবন সংস্কারের সময় দুর্নীতি, নিরাপত্তাহীন উপকরণ এবং অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চলছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কালো পোশাক পরে সরকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তিন মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ সময় হংকং ও চীনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। শহরের ১৮টি স্থানে সাধারণ মানুষের শোক প্রকাশের জন্য সমবেদনা বই রাখা হয়েছে। তাই পো জেলার আটটি ৩২-তলা ভবনের মধ্যে সাতটি আগুন লাগে। বহুতল আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৭৬ জন। এ ঘটনায় এখনো ২০০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা শহরের প্রায় ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ভবনগুলো বাঁশের স্ক্যাফোল্ডিং, সবুজ জাল এবং ফোম ইনসুলেশন দিয়ে আবৃত ছিল যা দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার(২৬ নভেম্বর) দুপুরে আগুন লাগে
হংকংয়ের কয়েকটি বহুতল আবাসিক ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বহু হতাহতের ঘটনায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) শোক পালন করা হয়েছে। এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ভবন সংস্কারের সময় দুর্নীতি, নিরাপত্তাহীন উপকরণ এবং অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত চলছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী জন লি, শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কালো পোশাক পরে সরকারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তিন মিনিট নীরবতা পালন করেন। এ সময় হংকং ও চীনের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। শহরের ১৮টি স্থানে সাধারণ মানুষের শোক প্রকাশের জন্য সমবেদনা বই রাখা হয়েছে।
তাই পো জেলার আটটি ৩২-তলা ভবনের মধ্যে সাতটি আগুন লাগে। বহুতল আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ১২৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৭৬ জন। এ ঘটনায় এখনো ২০০ জনের বেশি নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনা শহরের প্রায় ৮০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
ভবনগুলো বাঁশের স্ক্যাফোল্ডিং, সবুজ জাল এবং ফোম ইনসুলেশন দিয়ে আবৃত ছিল যা দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার(২৬ নভেম্বর) দুপুরে আগুন লাগে এবং মুহূর্তেই পুরো কমপ্লেক্সে তা ছড়িয়ে পড়ে।
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিক উদ্ধার অভিযান শেষ হলেও পুলিশ বলছে, তদন্তের অংশ হিসেবে পুড়ে যাওয়া ভবনগুলোতে তল্লাশি চালানোর সময় আরও মরদেহ মিলতে পারে।
সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, এসব ভবনে প্রায় ৪ হাজার ৬০০ বাসিন্দা থাকতেন। তবে অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনগুলোতে ঠিক কতজন ছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সাবেক ঔপনিবেশিক শাসক ব্রিটেনের রাজা চার্লস এক বিবৃতিতে বলেন, এই ভয়াবহ বিপর্যয়ে যারা আপনজন হারিয়েছেন, যারা আঘাত, শোক ও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন-তাদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।
সূত্র : আল-জাজিরা
কেএম
What's Your Reaction?