আজ বছরের দীর্ঘতম রাত, কাল ক্ষুদ্রতম দিন
আজ রাতটা বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাত। যেমন বছরের সবচেয়ে বড় দিন ২১ জুন। সেই হিসাবে আজ রোববার রাতটি বছরের সবচেয়ে বড় রাত। কাল অর্থাৎ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) হবে ক্ষুদ্রতম দিন। বাংলাদেশসহ উত্তর গোলার্ধের সব দেশের মানুষদের জন্য আজ (২১ ডিসেম্বর) বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাত। উত্তর গোলার্ধে আজ দ্রুত সন্ধ্যা নামলেও বছরের সবচেয়ে বেশি সময় লাগবে রাত শেষ হতে। সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এ সময় যে কোনো একদিকে একটু হেলে থাকে সূর্য। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আসে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ। ২১ জুন দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি থাকে। তাই সূর্যের রশ্মি দীর্ঘসময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়ে। ফলে বছরের দীর্ঘতম দিন হয় এটি। সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে বা খাড়াভাবে কিরণ দেয়। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দেশগুলোতে বেশি পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছায়। এর ফলে এই সময়কালে সেইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘সামার সলসটিস’ বা উত্তরায়ণ। এরপর থেকে দিন ছোট হতে শুরু করে। ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হে
আজ রাতটা বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাত। যেমন বছরের সবচেয়ে বড় দিন ২১ জুন। সেই হিসাবে আজ রোববার রাতটি বছরের সবচেয়ে বড় রাত। কাল অর্থাৎ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) হবে ক্ষুদ্রতম দিন। বাংলাদেশসহ উত্তর গোলার্ধের সব দেশের মানুষদের জন্য আজ (২১ ডিসেম্বর) বছরের সবচেয়ে দীর্ঘতম রাত।
উত্তর গোলার্ধে আজ দ্রুত সন্ধ্যা নামলেও বছরের সবচেয়ে বেশি সময় লাগবে রাত শেষ হতে। সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে। এ সময় যে কোনো একদিকে একটু হেলে থাকে সূর্য। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আসে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ।
২১ জুন দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি থাকে। তাই সূর্যের রশ্মি দীর্ঘসময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়ে। ফলে বছরের দীর্ঘতম দিন হয় এটি। সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে বা খাড়াভাবে কিরণ দেয়।
মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দেশগুলোতে বেশি পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছায়। এর ফলে এই সময়কালে সেইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘সামার সলসটিস’ বা উত্তরায়ণ। এরপর থেকে দিন ছোট হতে শুরু করে।
ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। আর উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে। ফলে সেখানে তখন সৃষ্টি হয় শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল।
২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয় আর রাত হয় দীর্ঘ। একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণ অয়নান্ত। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়। অর্থাৎ একই সময়ে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধে থাকবে দীর্ঘতম দিন ও ক্ষুদ্রতম রাত।
দীর্ঘ এ রাতের পুরোটা সময় ধরেই কুয়াশা আর চাঁদের আলোর আবছায়া মহোময় করে তুলবে আশপাশের পরিবেশ। সঙ্গীর হাত ধরে শীত গায়ে জড়িয়ে হাঁটতে পারেন কোনো রাস্তায় কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মজায় উপভোগ করতে পারেন আজ রাতটা।
চাইলে অনেকদিন ধরে দেখব দেখব করে জমানো নেটফ্লিক্সের কোনো সিরিজ দেখে নিতে পারেন। কিংবা একটি বই পড়তে পারেন। ফেলে রাখা ডাইরির পাতায় লিখতে পারেন মনের কোনো কথা, গান কিংবা কবিতা। চাইলে রান্না করতে পারেন মজার কিছু, প্রিয়জনের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন গল্প। কর্মব্যস্ততায় যা বলা হয়ে ওঠে না প্রতিদিন।
আরও পড়ুন
ফাইনাল পরীক্ষা শেষ, ছুটিতে রঙিন হোক শৈশব
সন্ধ্যা নামলেই পুরোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্যের হাট বসে যেখানে
কেএসকে
What's Your Reaction?