আজ ২০২৫ সালের শেষ পূর্ণিমা

আজ ২০২৫ সালের শেষ পূর্ণিমা হবে। এই পূর্ণিমাকে সাধারণত ‘কোল্ড মুন’ বলা হয়। কখনো কখনো এটিকে ‘লং নাইট মুন’ বা ‘মুন বিফোর ইয়ুল’ নামেও ডাকা হয়। নামগুলো মূলত উত্তর গোলার্ধের শীতকাল এবং দীর্ঘ, ঠান্ডা রাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৫ সালের এই কোল্ড মুনটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ এটি সুপারমুনও। সুপারমুন তখন হয় যখন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে থাকে, ফলে চাঁদটি তুলনামূলকভাবে বড় এবং উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই পূর্ণিমা আকাশপ্রেমীদের জন্য একটি চমকপ্রদ দৃশ্যের সুযোগ এনে দেয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, যেমন বাংলাদেশে, এই পূর্ণিমা ৩, ৪ এবং ৫ ডিসেম্বরের রাত পর্যন্ত প্রায় পুরোপুরি উজ্জ্বল দেখা যাবে। বিশেষ করে চাঁদ ওঠার সময় পর্যবেক্ষণ করলে চাঁদটি দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী বড় মনে হয়। উন্মুক্ত ও আলো কম থাকা জায়গায় দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখা সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা দিতে পারে। চাইলে দুরবিন বা ছোট টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও চাঁদের বিশদ দৃশ্য দেখা সম্ভব। এই কোল্ড মুন শুধু বছরের শেষ পূর্ণিমা নয়, এটি বছরের শেষ সুপারমুনও। শীতকালিক দীর্ঘ রাতের কারণে চাঁদ আরও প্রভাবশালী ও সুন্দর মনে হয়। অনেক আকাশবিজ্ঞানী এবং জ্যোতিষশা

আজ ২০২৫ সালের শেষ পূর্ণিমা
আজ ২০২৫ সালের শেষ পূর্ণিমা হবে। এই পূর্ণিমাকে সাধারণত ‘কোল্ড মুন’ বলা হয়। কখনো কখনো এটিকে ‘লং নাইট মুন’ বা ‘মুন বিফোর ইয়ুল’ নামেও ডাকা হয়। নামগুলো মূলত উত্তর গোলার্ধের শীতকাল এবং দীর্ঘ, ঠান্ডা রাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২৫ সালের এই কোল্ড মুনটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কারণ এটি সুপারমুনও। সুপারমুন তখন হয় যখন চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের বিন্দুতে থাকে, ফলে চাঁদটি তুলনামূলকভাবে বড় এবং উজ্জ্বল দেখায়। তাই এই পূর্ণিমা আকাশপ্রেমীদের জন্য একটি চমকপ্রদ দৃশ্যের সুযোগ এনে দেয়। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে, যেমন বাংলাদেশে, এই পূর্ণিমা ৩, ৪ এবং ৫ ডিসেম্বরের রাত পর্যন্ত প্রায় পুরোপুরি উজ্জ্বল দেখা যাবে। বিশেষ করে চাঁদ ওঠার সময় পর্যবেক্ষণ করলে চাঁদটি দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী বড় মনে হয়। উন্মুক্ত ও আলো কম থাকা জায়গায় দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখা সবচেয়ে সুন্দর অভিজ্ঞতা দিতে পারে। চাইলে দুরবিন বা ছোট টেলিস্কোপ ব্যবহার করেও চাঁদের বিশদ দৃশ্য দেখা সম্ভব। এই কোল্ড মুন শুধু বছরের শেষ পূর্ণিমা নয়, এটি বছরের শেষ সুপারমুনও। শীতকালিক দীর্ঘ রাতের কারণে চাঁদ আরও প্রভাবশালী ও সুন্দর মনে হয়। অনেক আকাশবিজ্ঞানী এবং জ্যোতিষশাস্ত্রপ্রেমী এই পূর্ণিমাকে বছর শেষের সময় প্রতিফলন এবং ধ্যানের সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করেন। এটি যেন একরকম ‘শেষবারের আলো’ যা বছরের সমস্ত স্মৃতি এবং অভিজ্ঞতাকে ধ্যানের চোখে দেখার সুযোগ দেয়। বাংলাদেশে এবং দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলে, যদিও এই পূর্ণিমার নামকরণ উত্তর গোলার্ধের শীতকাল থেকে এসেছে, তবে চাঁদ একইভাবে উজ্জ্বল ও পূর্ণ দেখা যাবে। স্থানীয় চাঁদ ওঠা ও ছায়ার সময় অনুযায়ী দেখা সবচেয়ে ভালো। সাধারণত সূর্যাস্তের ঠিক পর চাঁদ ওঠার মুহূর্তটি দেখাই সবচেয়ে উপভোগ্য হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থানরত চাঁদ, তার উজ্জ্বলতা এবং দীর্ঘ রাতের মিলনে এই পূর্ণিমা একটি অত্যন্ত সুন্দর অভিজ্ঞতা উপহার দেয়। অনেকেই পূর্ণিমার রাতে বাইরে গিয়ে চাঁদ ওঠা দেখেন, ছবি তুলেন বা ধ্যান করেন। এটি বছরের শেষ সময় হওয়ায় অনেকের জন্য প্রতিফলনের সময় হিসেবেও কাজ করে। ২০২৫ সালের এই শেষ পূর্ণিমা শুধু চাঁদের সৌন্দর্যই দেখায় না, বরং বছরের সমাপ্তি উপলক্ষে একটি নিঃশব্দ, সুন্দর এবং আধ্যাত্মিক মুহূর্তও এনে দেয়। যারা আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করেন বা চাঁদ এবং তার জ্যোতির্ময় উপস্থিতি অনুভব করতে চান, তাদের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি স্মরণীয় রাত হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow