আবু সাঈদকে বাঁচাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছি
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আবু সাঈদকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বা প্রসিকিউশনের ১৯তম সাক্ষী রওনক বসুনিয়া। তিনি জানান, আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হলে তিনি ও আরও কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে তাকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে পুলিশের ছোড়া গুলি তার কোমড়ে এবং হাঁটুর নিচে লাগে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষী রওনক বসুনিয়া এ জবানবন্দি দেন। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। জবানবন্দির শুরুতে ২৬ বছর বয়সী রওনক বসুনিয়া নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। পরে তিনি আবু সাঈদকে পুলিশের গুলির বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেখি যে একজন আন্দোলনকারী ছাত্র পুলিশের সামনে দুই হাত মেলে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তখনই পুলিশ কয়েকবার গুলি চালায়। আমি দেখি, দুই হাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তার ডিভাইডার পার হয়ে বসে পড়ে। তখন একজন আন্দোলনকারী ওই ছাত্রকে ধরে দাঁড় করায় এবং নিয়ে আসার চেষ্টা করে। তখন গুলিবিদ্ধ ছাত্রটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।’ ‘পরে আমিসহ আরও কয়েকজন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় আবু সাঈদকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বা প্রসিকিউশনের ১৯তম সাক্ষী রওনক বসুনিয়া।
তিনি জানান, আবু সাঈদ গুলিবিদ্ধ হলে তিনি ও আরও কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে তাকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এর মধ্যে পুলিশের ছোড়া গুলি তার কোমড়ে এবং হাঁটুর নিচে লাগে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ সাক্ষী রওনক বসুনিয়া এ জবানবন্দি দেন। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
জবানবন্দির শুরুতে ২৬ বছর বয়সী রওনক বসুনিয়া নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। পরে তিনি আবু সাঈদকে পুলিশের গুলির বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি দেখি যে একজন আন্দোলনকারী ছাত্র পুলিশের সামনে দুই হাত মেলে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তখনই পুলিশ কয়েকবার গুলি চালায়। আমি দেখি, দুই হাত মেলে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটি গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তার ডিভাইডার পার হয়ে বসে পড়ে। তখন একজন আন্দোলনকারী ওই ছাত্রকে ধরে দাঁড় করায় এবং নিয়ে আসার চেষ্টা করে। তখন গুলিবিদ্ধ ছাত্রটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।’
‘পরে আমিসহ আরও কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ছাত্রটিকে পার্কের মোড়ের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। এর মধ্যে পুলিশের ছোড়া গুলি আমার কোমড়ের বাম পাশে এবং বাম পায়ের হাঁটুর নিচে লাগে। তখন আরও কিছু ছাত্রছাত্রী এগিয়ে আসে এবং গুলিবিদ্ধ ছাত্রটিকে পার্কের মোড়ে নিয়ে গিয়ে রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে জানতে পারি গুলিবিদ্ধ ছাত্রটি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছে এবং তার নাম আবু সাঈদ,’ যোগ করেন সাক্ষী।
রওনক বসুনিয়া জানান, ঘটনার দিন একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালায় এবং লাঠিচার্জ করা শুরু করে। তখন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তিনি সে সময় ১ নম্বর গেটের বিপরীতে কাঠের ব্রিজের দিকে চলে আসেন এবং সেখান থেকে দেখতে পান যে কয়েকজন পুলিশ একজন কালো টি-শার্ট পড়া আন্দোলনকারী ছাত্রকে মারধর করছে।
এফএইচ/একিউএফ
What's Your Reaction?