আমনের বাজার স্থিতিশীল, দামে অখুশি চাষিরা
ধান-চালে সমৃদ্ধ উত্তরের জেলা নওগাঁয় চলতি মৌসুমে উৎপাদিত আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। কিছু এলাকায় পোকামাকড়ের আক্রমণ থাকলেও অনুকূল আবহাওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে। তবে কাটা-মাড়াইয়ের পর উৎপাদিত এ ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ করছেন চাষিরা। তাদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে লাভের আশায় বেশি দামে সার কীটনাশক কিনে আমন ধানের আবাদ করেছেন চাষিরা। কিন্তু স্থানীয় বাজারে সেই ধানের দাম বাড়ছে না। দেশে ধানের বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রাখায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নওগাঁর ১১টি উপজেলায় এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭২৮ মেট্রিক টন। এরইমধ্যে মাঠের ৭০ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দুই সপ্তাহ আগেই মৌসুমে উৎপাদিত স্বর্ণা-৫ জাতের ধান উঠতে শুরু করেছে। মৌসুমের শুরুতেই এ ধান বর্তমানে মানভেদে প্রতি মণ এক হাজার ২২০ টাকা থেকে এক হাজার ২৬০ টাকা দরে বেচাকেনা করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি গত বোরো মৌসুম
ধান-চালে সমৃদ্ধ উত্তরের জেলা নওগাঁয় চলতি মৌসুমে উৎপাদিত আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। কিছু এলাকায় পোকামাকড়ের আক্রমণ থাকলেও অনুকূল আবহাওয়ায় ভালো ফলন হয়েছে। তবে কাটা-মাড়াইয়ের পর উৎপাদিত এ ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়ার অভিযোগ করছেন চাষিরা।
তাদের অভিযোগ, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে লাভের আশায় বেশি দামে সার কীটনাশক কিনে আমন ধানের আবাদ করেছেন চাষিরা। কিন্তু স্থানীয় বাজারে সেই ধানের দাম বাড়ছে না। দেশে ধানের বাম্পার ফলন হওয়া সত্ত্বেও সরকার বিদেশ থেকে চাল আমদানি অব্যাহত রাখায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে নওগাঁর ১১টি উপজেলায় এক লাখ ৯৩ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭২৮ মেট্রিক টন। এরইমধ্যে মাঠের ৭০ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই সম্পন্ন হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে দুই সপ্তাহ আগেই মৌসুমে উৎপাদিত স্বর্ণা-৫ জাতের ধান উঠতে শুরু করেছে। মৌসুমের শুরুতেই এ ধান বর্তমানে মানভেদে প্রতি মণ এক হাজার ২২০ টাকা থেকে এক হাজার ২৬০ টাকা দরে বেচাকেনা করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি গত বোরো মৌসুমে উৎপাদিত প্রতি মণ জিরাইশাইল ধান এক হাজার ৭৪০ টাকা থেকে এক হাজার ৭৬০ টাকা এবং শম্পা কাটারি এক হাজার ৬৮০ টাকা থেকে এক হাজার ৭৪০ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে।
মহাদেবপুর উপজেলার কৃষক রেজাউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘এ বছর দুই বিঘা জমিতে স্বর্ণা-৫ জাতের ধানের আবাদ করে ৪০ মণ ফলন পেয়েছি। সার-কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় ধান রোপণের শুরু থেকে কাটা-মাড়াই পর্যন্ত প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ১৭ হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রতি মণ ধান উৎপাদন খরচ ৮৫০ টাকা। সেই ধান বর্তমান বাজারে সর্বোচ্চ এক হাজার ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এত পরিশ্রমের পর প্রতি মণ ধানে মাত্র ৪১০ টাকা লাভ যথেষ্ট নয়। দাম না বাড়লে ভবিষ্যতে এই আবাদ বন্ধ করে দিতে হবে।’
রাণীনগর উপজেলার কৃষক শমসের আলী বলেন, ‘ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছিলাম। পাওনাদারদের হালখাতার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান বাজারমূল্যে ধান বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের পর পকেটে কিছুই থাকবে না।’
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোছা. হোমায়রা মন্ডল জাগো নিউজকে বলেন, সরকার চাল আমদানি অব্যাহত রাখায় বাজারে ধানের দামে প্রভাব নিয়ে কিছু বলার সুযোগ নেই। এবার জেলায় আমনের ভালো ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা। তারা ভালো দাম পাবেন, এটাই আমাদের চাওয়া।
আরমান হোসেন রুমন/এসআর/এএসএম
What's Your Reaction?