আমাকে যারা চিনে না, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে: শাহজাহান

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে বসবে, আমাদের কথায় মামলা করবে, গ্রেপ্তার করবে-এমন বক্তব্যের পর ফের আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। এবার তার আরেকটি বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘খবরদার; আমি শাহজাহান চৌধুরী। আমাকে যারা চিনে না, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে।’ (খবরদার অ্যাঁই শাহজাহান চৌধুরী, অ্যাঁরে যারা নঁ চিনে ইতারা এহনো মাটির তলে বসবাস গড়ের)। শাহজাহান চৌধুরী বলেন, সে জন্য বলে যাচ্ছি, চুদুরবুদুর (উল্টাপাল্টা) করিও না। লুলা (অবশ) হয়ে যাবে। আমি যদি চোখের পানি ফেলি, লুলা হয়ে যাবে। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। ১৮ বছরের মধ্যে ৯ বছর জেল খেটেছি। আমি টাকাপয়সা চাই নাই, ধনদৌলত, কাপড়চোপড়, পরিবারকে চাইনি। আমি আপনাদের দুয়ারে আজকে এসেছি। আমি চোখ তুলে দেখতেছি, আমার জন্য আল্লাহ আছে। আল্লাহর মেহেরবানি, আল্লাহ আমার জন্য সূর্য ঠেকিয়ে রাখবে। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এরকম মর্যাদা দিয়েছেন’। তিনি আরও বলেন, ‘আমার চোখের পানি বৃথা যায়নি। এই চরতি আমার শায়েখ, ওস্তাদ মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর জন্মস্থান। আমি এলাকাকে সম্মান

আমাকে যারা চিনে না, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে: শাহজাহান

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে বসবে, আমাদের কথায় মামলা করবে, গ্রেপ্তার করবে-এমন বক্তব্যের পর ফের আলোচনায় জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী। এবার তার আরেকটি বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় তাকে বলতে শোনা যায়, ‘খবরদার; আমি শাহজাহান চৌধুরী। আমাকে যারা চিনে না, তারা এখনো মাটির নিচে বসবাস করে।’ (খবরদার অ্যাঁই শাহজাহান চৌধুরী, অ্যাঁরে যারা নঁ চিনে ইতারা এহনো মাটির তলে বসবাস গড়ের)।

শাহজাহান চৌধুরী বলেন, সে জন্য বলে যাচ্ছি, চুদুরবুদুর (উল্টাপাল্টা) করিও না। লুলা (অবশ) হয়ে যাবে। আমি যদি চোখের পানি ফেলি, লুলা হয়ে যাবে। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি। ১৮ বছরের মধ্যে ৯ বছর জেল খেটেছি। আমি টাকাপয়সা চাই নাই, ধনদৌলত, কাপড়চোপড়, পরিবারকে চাইনি। আমি আপনাদের দুয়ারে আজকে এসেছি। আমি চোখ তুলে দেখতেছি, আমার জন্য আল্লাহ আছে। আল্লাহর মেহেরবানি, আল্লাহ আমার জন্য সূর্য ঠেকিয়ে রাখবে। আল্লাহ তায়ালা আমাকে এরকম মর্যাদা দিয়েছেন’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার চোখের পানি বৃথা যায়নি। এই চরতি আমার শায়েখ, ওস্তাদ মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর জন্মস্থান। আমি এলাকাকে সম্মান করি, এই এলাকার মাটিকে সম্মান করি। এখানে কোনো রাজনীতি নাই। এখানে আর কোনো মার্কা নাই, সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মার্কা একটাই, সেটা হলো দাঁড়িপাল্লা।’

১৩ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় গণসংযোগকালে শাহজাহান চৌধুরী এই বক্তব্য দিয়েছিলেন বলে চট্টগ্রাম জামায়াতের কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে গত (২২ নভেম্বর) জামায়াতের চট্টগ্রামের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী প্রশাসনকে কব্জায় আনা নিয়ে বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।

পরে গত মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) শাহজাহান চৌধুরীকে দলীয় ব্যবস্থা হিসেবে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭দিনের মধ্যে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। সন্তোষজনক জবাব না পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয় নোটিশে।

উল্লেখ্য, শাহজাহান চৌধুরী আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম থেকে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের মনোনীত প্রার্থী।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow