‘আমি আসলে একজন বোরিং পারসন’
শততম টেস্টে মাঠে নামার আগে থেকেই তিনি নন্দিত। তাকে নিয়ে অজস্র কথামালা। সাবেক অধিনায়ক, সাবেক সহযোগী ক্রিকেটার, কোচরা তার অকুন্ঠ প্রশংসা করেছেন। মুশফিকের আত্মনিবেদন সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাকেই সবাই ক্রিকেট মাঠের সবচেয়ে মনোযোগী, মনোসংযোগীঅ ছাত্র বলে অভিহিত করে থাকেন। মুশফিকের জীবনে ক্রিকেটই প্রথম ও শেষ কথা। তার সুশৃঙ্খল জীবন যাপন, রুটিন করে চলা, প্র্যাকটিসে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর কথাই উঠে এসেছে ঘুরে ফিরে বারবার। মুশফিকই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে পরিশ্রমী, অধ্যাবসায়ী, মনোযোগী, মনোসংযোগী ও নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেটার, এমন মূল্যায়ন বড় অংশের। সেগুলো কি শুধু প্রশংসাসূচটক বাক্য? মুশফিক নিজে কি মনে করেন? নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন? এ দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ারকে মুশফিক নিজে কিভাবে দেখেন? তার দাবি, তিনি তেমন হিসেব কষে আগাননি। সত্যিই যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে ২০ বছর খেলার পর শততম টেস্টে মাঠে নেমে শতরানের কৃতিত্ব দেখানো কি করে সম্ভব? এমন সব প্রশ্নের উত্তরে মুশফিক অনেক কথার ভীড়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, শুধু ক্রিকেটে নয়, তার জীবনে আসলে একটাই ব্রত। তাহলো, তার কাছে প্রথম আর ১০০ নম্বর টেস্ট বলে কিছু নেই
শততম টেস্টে মাঠে নামার আগে থেকেই তিনি নন্দিত। তাকে নিয়ে অজস্র কথামালা। সাবেক অধিনায়ক, সাবেক সহযোগী ক্রিকেটার, কোচরা তার অকুন্ঠ প্রশংসা করেছেন।
মুশফিকের আত্মনিবেদন সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। তাকেই সবাই ক্রিকেট মাঠের সবচেয়ে মনোযোগী, মনোসংযোগীঅ ছাত্র বলে অভিহিত করে থাকেন। মুশফিকের জীবনে ক্রিকেটই প্রথম ও শেষ কথা। তার সুশৃঙ্খল জীবন যাপন, রুটিন করে চলা, প্র্যাকটিসে সবচেয়ে বেশি সময় কাটানোর কথাই উঠে এসেছে ঘুরে ফিরে বারবার।
মুশফিকই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে পরিশ্রমী, অধ্যাবসায়ী, মনোযোগী, মনোসংযোগী ও নিবেদিতপ্রাণ ক্রিকেটার, এমন মূল্যায়ন বড় অংশের। সেগুলো কি শুধু প্রশংসাসূচটক বাক্য? মুশফিক নিজে কি মনে করেন? নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করেন?
এ দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ারকে মুশফিক নিজে কিভাবে দেখেন? তার দাবি, তিনি তেমন হিসেব কষে আগাননি। সত্যিই যদি তাই হয়ে থাকে, তাহলে ২০ বছর খেলার পর শততম টেস্টে মাঠে নেমে শতরানের কৃতিত্ব দেখানো কি করে সম্ভব?
এমন সব প্রশ্নের উত্তরে মুশফিক অনেক কথার ভীড়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, শুধু ক্রিকেটে নয়, তার জীবনে আসলে একটাই ব্রত। তাহলো, তার কাছে প্রথম আর ১০০ নম্বর টেস্ট বলে কিছু নেই। সব সময় প্রস্তুতি একই থাকে। তার চিন্তা, ভাবনাও পাল্টায়নি। তিনি প্রতিটি ম্যাচকেই সমান গুরুত্ব দেন। তার কাছে খেলাটাই স্পেশাল। সেটা প্রথম ম্যাচ না, শততম টেস্ট? তা বড় নয়।
বৃহস্পতিবার খেলা শেষে সংবাদ সন্মেলনে সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মুশফিক আরও বোঝানোর চেষ্টা করেন যে, তার জীবনে ক্রিকেটই শেষ কথা। ক্রিকেটই তার ভাললাগা। ভালবাসা এবং ক্রিকেটকেন্দ্রিক চিন্তা ভাবনাই থাকে সর্বক্ষণ।
আর তাই শুরুতেই বলে নিয়েছেন, ‘আমি আসলে একজন বোরিং মানুষ। সত্যি কথা বলতে কি, আমি আসলেই একজন বোরিং পারসন। আমি অনুশীলনে বছরের পর বছর, দিনের পর দিন, প্রতিদিন ঠিক একই কাজ করি। সেটা এমন নয় যে আমার ক্যারিয়ারের ২০ বছর পরের ম্যাচ কিংবা আরও ৪০ বছর পরের কোন খেলা। আমি সাধারণতঃ যা যা করি অনুশীলনে, ঠিক প্রতিদিন তাই করি। আমার মনে হয় সেটা আমার ও দলের জন্য দরকার। আর প্রফেশনালজিমে আমার কাছে কোন ছাড় নেই। আমি ১০০ করি কিংবা শূন্য রানে আউট হই, সেটা আমার হাতে নাই। কিন্তু চেষ্টা, প্রসেস এবং সততা আমার হাতে। সেটা শুধু ক্রিকেটে নয়, আমার জীবনের একমাত্র ব্রত।’
মুশফিকের শেষ কথা হলো, তিনি পুরোদস্তুর পেশাদার মানসিকতা সম্পন্ন একজন মানুষ। তার একাগ্রতা ও সিরিয়াসনেস সময়, পরিবেশ-পরিস্থিতিতেও বদল হয় না। তাই মুখে এমন কথা, ‘আমি শততম টেস্ট খেলতে নামার সময়ও ভেবেছি, প্রথম টেস্ট খেলতে নামছি। আমি আমার ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট খেলার জন্য যেমন একাগ্র, আবেগপ্রবণ ও সিরিয়াস ছিলাম, এই ১০০ নম্বর টেস্টে এসেও আমার একাগ্রতা ও সিরিয়াসনেস একই আছে। আমার কাছে সব টেস্টই স্পেশাল। সব টেস্ট ম্যাচে আমি এভাবেই নিজেকে তৈরি করার চেষ্টা করি। সেটাই আমার একমাত্র ব্রত। আমার নিজের সম্পর্কে এর বাইরে আর কিছু বলার নেই।’
এআরবি/আইএইচএস
What's Your Reaction?