আসছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’

অগ্রহায়ণ মাস শেষ হতে আর মাত্র আট দিন বাকি। এরই মধ্যে গ্রামাঞ্চলে শীতের দাপট স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। এর মধ্যেই ডিসেম্বরে এ মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’ ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানায় বিডব্লিউওটি। পোস্টে বিডব্লিউওটি জানায়, ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ পরশ। এটি এই মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।  সংস্থাটি আরও জানায়,  আগামী ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে সক্রিয় থাকতে পারে শৈত্যপ্রবাহ পরশ। এটি সক্রিয় থাকার সময় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে।  এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রি, কুমিল্লা, নওগাঁর বদলগাছী, গোপালগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১২ দশমিক ৫, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৪ এবং রাজশাহী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড

আসছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’
অগ্রহায়ণ মাস শেষ হতে আর মাত্র আট দিন বাকি। এরই মধ্যে গ্রামাঞ্চলে শীতের দাপট স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে। এর মধ্যেই ডিসেম্বরে এ মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ‘পরশ’ ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানায় বিডব্লিউওটি। পোস্টে বিডব্লিউওটি জানায়, ধেয়ে আসছে শৈত্যপ্রবাহ পরশ। এটি এই মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।  সংস্থাটি আরও জানায়,  আগামী ১৪ থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে সক্রিয় থাকতে পারে শৈত্যপ্রবাহ পরশ। এটি সক্রিয় থাকার সময় রংপুর, রাজশাহী, খুলনা এবং সিলেট বিভাগের কিছু কিছু স্থানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামতে পারে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে।  এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১১ ডিগ্রি, কুমিল্লা, নওগাঁর বদলগাছী, গোপালগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১২ দশমিক ৫, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৪ এবং রাজশাহী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের বেশিরভাগ স্থানে রাতের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা আরও জোরালো হয়েছে। সাধারণত তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি বা তার নিচে নামলেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হিসেবে গণ্য হয়। তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি হলে মৃদু, ৬-৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি, ৪-৬ ডিগ্রি হলে তীব্র এবং ৪ ডিগ্রির নিচে নামলে অতিতীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। পূর্বাভাস অনুসারে, চলতি মাসেই এক থেকে দুটি শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিতে পারে, যার প্রকৃতি হবে মৃদু থেকে মাঝারি। অর্থাৎ তাপমাত্রা কমে ১০ থেকে প্রায় ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির কালবেলাকে বলেন, ‘কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যেতে পারে, তবে তা স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কম। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের পর শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় এবার তাপমাত্রার খুব বেশি পার্থক্য হবে না, প্রায় একই থাকবে।’ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আগামী পাঁচ দিন আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা ও আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রাত-দিনের তাপমাত্রায় তেমন পরিবর্তন হবে না। ভোরে দেশের কিছু এলাকায় হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। সংস্থাটি আরও জানায়, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেশের কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। বিশেষ করে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে শীতের প্রভাব তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। তীব্র শীতের কারণে এসব এলাকার জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow