ইউক্রেনে ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি: রাশিয়া

মস্কোয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের দীর্ঘ বৈঠকের পরও ইউক্রেনের ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো সমঝোতা হয়নি বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ রুশ কর্মকর্তা। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং তার জামাতা জ্যারেড কুশনার মস্কোয় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। বৈঠক শেষে ক্রেমলিন উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, এখনও কোনো সমঝোতা হয়নি। তবে কিছু মার্কিন প্রস্তাব আলোচনা করা যেতে পারে। তিনি জানান, আলোচনা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক, তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে যায়। এর আগের ২৮ দফার খসড়া প্রস্তাবটি ইউক্রেন ও তার মিত্রদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিল, যেখানে তারা বলেছিল—এটি রাশিয়ার পক্ষে সুবিধাজনক। বৈঠকের আগে এক বিনিয়োগ ফোরামে পুতিন যুদ্ধংদেহী বক্তব্য দেন। তিনি দাবি করেন, ইউরোপ যুদ্ধ চায় এবং ইউক্রেনকে সহযোগিতা করছে শুধু শান্ত

ইউক্রেনে ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি: রাশিয়া

মস্কোয় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের দীর্ঘ বৈঠকের পরও ইউক্রেনের ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কোনো সমঝোতা হয়নি বলে জানিয়েছেন এক শীর্ষ রুশ কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং তার জামাতা জ্যারেড কুশনার মস্কোয় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

বৈঠক শেষে ক্রেমলিন উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ বলেন, এখনও কোনো সমঝোতা হয়নি। তবে কিছু মার্কিন প্রস্তাব আলোচনা করা যেতে পারে।

তিনি জানান, আলোচনা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও গঠনমূলক, তবে এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র একটি হালনাগাদ শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বৈঠকে যায়। এর আগের ২৮ দফার খসড়া প্রস্তাবটি ইউক্রেন ও তার মিত্রদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছিল, যেখানে তারা বলেছিল—এটি রাশিয়ার পক্ষে সুবিধাজনক।

বৈঠকের আগে এক বিনিয়োগ ফোরামে পুতিন যুদ্ধংদেহী বক্তব্য দেন। তিনি দাবি করেন, ইউরোপ যুদ্ধ চায় এবং ইউক্রেনকে সহযোগিতা করছে শুধু শান্তি প্রক্রিয়া ভঙ্গের উদ্দেশ্যে।

পুতিন আরও বলেন, রাশিয়ার জাহাজে হামলার পর রুশ তেলবাহী জাহাজ ও ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে আক্রমণ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা বলেন, পুতিনের কথাবার্তায় প্রমাণ হয় তিনি যুদ্ধ থামাতে চান না।

এদিকে আয়ারল্যান্ডে সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, তাদের লক্ষ্য একটি সম্মানজনক শান্তি। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন, পশ্চিমা মিত্ররা ক্লান্ত হয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে—যা রাশিয়ার কৌশল বলেও উল্লেখ করেন।

ওয়াশিংটনে এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আলোচনা সহজ নয়।
কি বিশৃঙ্খলা! আমাদের মানুষ এখন রাশিয়ায় আছে। দেখি সমাধান হয় কি না। তিনি আরও জানান, যুদ্ধ প্রতিমাসে দশ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি ঘটাচ্ছে।

মার্কিন প্রতিনিধি দল বুধবারই ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্রাসেলসে দেখা করতে পারে বলে জানিয়েছে কিয়েভের এক কর্মকর্তা।

এদিকে রাশিয়া দাবি করেছে তারা ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শহর পোকরোভস্ক দখল করেছে। কিয়েভ এ দাবি অস্বীকার করে বলছে—রাশিয়া তাদের অগ্রগতি অনিবার্য বলে দেখাতে চাইছে।

বর্তমানে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের ১৯ শতাংশের বেশি এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে—এক বছর আগের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। ২০২৫ সালে রুশ অগ্রগতি ২০২২ সালের পর সবচেয়ে দ্রুতগতির বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow