ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। ক্ষমতার অপব্যবহার মোকাবিলায় যেকোনো প্রচেষ্টা অবশ্যই আইনের মৌলিক নীতি মেনে পরিচালিত হতে হবে। আইনগত প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়াও জরুরি। এছাড়া, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর রিকনসিলিয়েশন (সমঝোতা) এবং এ বিষয়ে সংলাপের প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত। বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল জার্মানি। পঁচাত্তরের মতো এখন শেখ হাসিনাকে জার্মানি আশ্রয় দেবে কি না? জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৫ সালে কী হয়েছিল, তা অনেক পুরোনো ঘটনা। এখন এমন কোনো অনুরোধ বা প্রশ্ন আমাদের কাছে আসেনি। যদি কখনো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, আমরা তখন আলোচনা শুরু করবো। এটি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী

বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সব পরিস্থিতিতেই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী। ক্ষমতার অপব্যবহার মোকাবিলায় যেকোনো প্রচেষ্টা অবশ্যই আইনের মৌলিক নীতি মেনে পরিচালিত হতে হবে। আইনগত প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়াও জরুরি।

এছাড়া, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য রাজনৈতিক পক্ষগুলোর রিকনসিলিয়েশন (সমঝোতা) এবং এ বিষয়ে সংলাপের প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল জার্মানি। পঁচাত্তরের মতো এখন শেখ হাসিনাকে জার্মানি আশ্রয় দেবে কি না?

জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, ১৯৭৫ সালে কী হয়েছিল, তা অনেক পুরোনো ঘটনা। এখন এমন কোনো অনুরোধ বা প্রশ্ন আমাদের কাছে আসেনি। যদি কখনো এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, আমরা তখন আলোচনা শুরু করবো। এটি একটি তাত্ত্বিক প্রশ্ন, এবং আমি এখনই এর উত্তর দেওয়ার অবস্থায় নেই।

আইনি প্রক্রিয়ার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে অতীত সরকারের অবিচার এবং ক্ষমতার অপব্যবহার মোকাবিলার জন্য সঠিক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এটি কোনো রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া দেশের জন্য অপরিহার্য।

তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জার্মানির অবস্থান জানিয়ে বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মানি সবসময় মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী এবং আমরা এ অবস্থান বজায় রেখেছি।

তবে তিনি সতর্কভাবে বলেন, অতীতের ক্ষমতার অপব্যবহার মোকাবিলা করতে হলে অবশ্যই আইনের শাসনের নীতি মেনে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিশ্চিত করতে, বিশেষ করে যখন প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো আসবে, আইনের শাসনকে সম্মান করা এবং একটি সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, সরকারি পক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে বোঝাপড়া রয়েছে, তবে কিছু ক্ষেত্র এখনো রয়েছে, যেখানে সরকার ও বিচারিক কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে যে আইনের শাসন সঠিকভাবে রক্ষা করা হচ্ছে।

ড. রুডিগার লোটজ বলেন, এটি (আইনের শাসন) বহু বছর ধরে এদেশে অনুপস্থিত ছিল। দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমি বুঝতে পারি, এটি কঠিন যখন কি না সাবেক সরকারের প্রতিনিধি অতীতের ভুল স্বীকার করতে রাজি নন। তবে রিকনসিলিয়েশনের জন্য উভয়পক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখনো সেখানে পৌঁছায়নি, তবে আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনের পর রিকনসিলিয়েশনের জন্য একটি কার্যকর জাতীয় সংলাপ শুরু করার জন্য যথাযথ প্রচেষ্টা করা উচিত।

জেপিআই/এমকেআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow