ইচ্ছা করেই ত্রুটিযুক্ত অ্যাকশন, পডকাস্টে চাঞ্চল্যকর দাবি সাকিবের

নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন সাকিব আল হাসান। সাবেক এই বাংলাদেশ অধিনায়ক দাবি করেছেন, ২০২৪ সালে যে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে তিনি সমস্যায় পড়েছিলেন, সেটি পুরোপুরি দুর্ঘটনাবশত নয়—আংশিকভাবে ছিল ইচ্ছাকৃত। রোববার (৭ ডিসেম্বর) জনপ্রিয় বিয়ার্ড বিফোর উইকেট পডকাস্টে নিজের ক্যারিয়ার, অবসর পরিকল্পনা এবং বিতর্কিত সেই অধ্যায় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন সাকিব। সেখানে তিনি জানান, অতিরিক্ত ক্লান্তির কারণেই তিনি নিজের বোলিং অ্যাকশনে সচেতনভাবে কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। সাকিবের ভাষ্য,“ওই ম্যাচে আমাকে ৭০ ওভারের বেশি বল করতে হয়। আমার ক্যারিয়ারে কোনো টেস্ট ম্যাচেও আমি এত ওভার বোলিং করিনি। স্বাভাবিকভাবেই শরীর খুবই ক্লান্ত ছিল। তাই কিছুটা ইচ্ছা করেই আমি অ্যাকশনে পরিবর্তন এনেছিলাম।” ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে টনটনে সমারসেটের বিপক্ষে একমাত্র চারদিনের ম্যাচে খেলেছিলেন সাকিব। সেই ম্যাচেই আম্পায়াররা তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরবর্তীতে লফবরো ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষায় অংশ নিলে তার অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়। এরপর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রি

ইচ্ছা করেই ত্রুটিযুক্ত অ্যাকশন, পডকাস্টে চাঞ্চল্যকর দাবি সাকিবের
নিজের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিতর্কে এবার নতুন মাত্রা যোগ করলেন সাকিব আল হাসান। সাবেক এই বাংলাদেশ অধিনায়ক দাবি করেছেন, ২০২৪ সালে যে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে তিনি সমস্যায় পড়েছিলেন, সেটি পুরোপুরি দুর্ঘটনাবশত নয়—আংশিকভাবে ছিল ইচ্ছাকৃত। রোববার (৭ ডিসেম্বর) জনপ্রিয় বিয়ার্ড বিফোর উইকেট পডকাস্টে নিজের ক্যারিয়ার, অবসর পরিকল্পনা এবং বিতর্কিত সেই অধ্যায় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন সাকিব। সেখানে তিনি জানান, অতিরিক্ত ক্লান্তির কারণেই তিনি নিজের বোলিং অ্যাকশনে সচেতনভাবে কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। সাকিবের ভাষ্য,“ওই ম্যাচে আমাকে ৭০ ওভারের বেশি বল করতে হয়। আমার ক্যারিয়ারে কোনো টেস্ট ম্যাচেও আমি এত ওভার বোলিং করিনি। স্বাভাবিকভাবেই শরীর খুবই ক্লান্ত ছিল। তাই কিছুটা ইচ্ছা করেই আমি অ্যাকশনে পরিবর্তন এনেছিলাম।” ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইংলিশ কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে টনটনে সমারসেটের বিপক্ষে একমাত্র চারদিনের ম্যাচে খেলেছিলেন সাকিব। সেই ম্যাচেই আম্পায়াররা তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পরবর্তীতে লফবরো ইউনিভার্সিটিতে পরীক্ষায় অংশ নিলে তার অ্যাকশন অবৈধ প্রমাণিত হয়। এরপর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাকে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বোলিং থেকে নিষিদ্ধ করে। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে সাকিব বলেন,“পাকিস্তানে টানা দুটি টেস্ট খেলার পর কাউন্টিতে খেলতে যাই। খুব ক্লান্ত ছিলাম। তখন মনে হয়েছিল, আম্পায়াররা চাইলে আমাকে সতর্ক করতে পারতেন। নিয়মে সেই সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা করেননি, আর আমিও তখন আপত্তি করিনি।” পরবর্তীতে বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর প্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন এই অলরাউন্ডার।“পরীক্ষায় ফেল করার পর নিজের রিপোর্ট দেখলাম। বুঝলাম কোথায় সমস্যা হচ্ছে। প্রায় দুই সপ্তাহ অনুশীলন করার পর আবার সারে ফিরে যাই। ক্লাব আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। দুই–তিনটা সেশন করেই দেখি সব ঠিক হয়ে গেছে। তখন মনে হলো—আসলে ব্যাপারটা এত কঠিন ছিল না।” পডকাস্টে শুধু ক্রিকেট নয়, নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও তুলে ধরেন সাকিব। তিনি আবারও জানান, তিনি দেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নিতে চান। পাশাপাশি রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, দেশের মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা এখনো তার আছে। উল্লেখ্য, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হওয়ার পর থেকেই ২০২৪ সালের পর বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি সাকিব। তবুও ক্রিকেট ও রাজনীতি—দুটো ক্ষেত্রেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেই রাখতে চান বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডার।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow