ইথিওপিয়ায় তীব্র অগ্ন্যুৎপাত, ১৪ কিলোমিটার উঁচুতে ধোঁয়া
উত্তর ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলে দীর্ঘ ১২ হাজার বছর সুপ্ত অবস্থায় থাকা হাইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত করেছে। রবিবার সকালে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরিটি থেকে উড়ে আসা ছাইয়ের মেঘ লোহিত সাগর পেরিয়ে ইয়েমেন ও ওমানের দিকে ধাবিত হয়েছে। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে আদ্দিস আবাবা থেকে উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিটি অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আফদেরা গ্রামের চারপাশের এলাকা ছাইয়ে ঢেকে যায়। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে। টুলুজ আগ্নেয়ছাই পরামর্শ কেন্দ্র (VAAC) জানায়, অগ্ন্যুৎপাতের ধোঁয়া আকাশে প্রায় ১৪ কিলোমিটার (নয় মাইল) পর্যন্ত উঠে যায় এবং ছাইয়ের মেঘ ইয়েমেন, ওমান ছাড়াও ভারত ও উত্তর পাকিস্তানের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ আবদেলা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ও প্রভাব “হঠাৎ একটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে” বলে মনে হয়েছিল। রবিবার রাতে যারা দানাকিল মরুভূমির দিকে যাচ্ছিলেন, তাদের অনেকেই ছাইয়ে ঢেকে যাওয়া আফদেরায় আটকে পড়েন। স্থানীয় প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদ জানান, মানবিক কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ছাই জমার কারণে পশুপালকদের বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বহু গ্রাম ছাইয়ে
উত্তর ইথিওপিয়ার আফার অঞ্চলে দীর্ঘ ১২ হাজার বছর সুপ্ত অবস্থায় থাকা হাইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরি অগ্ন্যুৎপাত করেছে। রবিবার সকালে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অগ্ন্যুৎপাতের সময় আগ্নেয়গিরিটি থেকে উড়ে আসা ছাইয়ের মেঘ লোহিত সাগর পেরিয়ে ইয়েমেন ও ওমানের দিকে ধাবিত হয়েছে।
প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে আদ্দিস আবাবা থেকে উত্তর-পূর্বে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিটি অগ্ন্যুৎপাতের ফলে আফদেরা গ্রামের চারপাশের এলাকা ছাইয়ে ঢেকে যায়। তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে।
টুলুজ আগ্নেয়ছাই পরামর্শ কেন্দ্র (VAAC) জানায়, অগ্ন্যুৎপাতের ধোঁয়া আকাশে প্রায় ১৪ কিলোমিটার (নয় মাইল) পর্যন্ত উঠে যায় এবং ছাইয়ের মেঘ ইয়েমেন, ওমান ছাড়াও ভারত ও উত্তর পাকিস্তানের দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা আহমেদ আবদেলা জানান, বিস্ফোরণের শব্দ ও প্রভাব “হঠাৎ একটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে” বলে মনে হয়েছিল। রবিবার রাতে যারা দানাকিল মরুভূমির দিকে যাচ্ছিলেন, তাদের অনেকেই ছাইয়ে ঢেকে যাওয়া আফদেরায় আটকে পড়েন।
স্থানীয় প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদ জানান, মানবিক কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ছাই জমার কারণে পশুপালকদের বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বহু গ্রাম ছাইয়ে ঢেকে যাওয়ায় তাদের পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
হাইলি গুব্বি আগ্নেয়গিরিটি রিফট ভ্যালির ভেতরে অবস্থিত, যেখানে দুটি টেকটনিক প্লেটের মিলনস্থলের কারণে ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির কার্যক্রম তুলনামূলক বেশি দেখা যায়।
স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের গ্লোবাল ভলকানিজম প্রোগ্রাম জানিয়েছে, বর্তমান ভূ-তাত্ত্বিক যুগ হোলোসিনে আগ্নেয়গিরিটির কোনো অগ্ন্যুৎপাতের রেকর্ড নেই। এ অগ্ন্যুৎপাতই ১২ হাজার বছরের মধ্যে প্রথম।
সূত্র-আলজাজিরা।
What's Your Reaction?