ইবি শিক্ষকদের নিয়ে তিন নেতার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, দুঃখ প্রকাশ ছাত্রদলের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা এবং প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও গালিগালাজ করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছে শাখা ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শাখা সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ইবি ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার পক্ষ থেকে সম্মানিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যে আপত্তিকর ও অনভিপ্রেত মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে, সে বিষয়ে আমরা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাদের মূল বক্তব্য ছিল প্রশাসনের উদাসীনতা ও দ্বৈত নীতির বিরুদ্ধে। বিশেষ করে সাজিদ হত্যাকান্ডের ০৫ (পাঁচ) মাস অতিবাহিত হলেও এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না হওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে নানা অযৌক্তিক আপত্তি আরোপ করার বিরুদ্ধে। তারা আরও বলেন, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাত্রী হলের অনুষ্ঠান উপভোগের মত ঘটনাগুলোর মাধ্যমে যে বৈষম্য ও অসংগতি প্রকাশ পেয়েছে- সেই বিষয়গুলোই আমাদের বক্তব্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে, দুঃখজনকভাবে বক্তব্য

ইবি শিক্ষকদের নিয়ে তিন নেতার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, দুঃখ প্রকাশ ছাত্রদলের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা এবং প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতির নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও গালিগালাজ করার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেছে শাখা ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) শাখা সদস্য সচিব মাসুদ রুমি মিথুন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ইবি ছাত্রদলের কয়েকজন নেতার পক্ষ থেকে সম্মানিত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে যে আপত্তিকর ও অনভিপ্রেত মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে, সে বিষয়ে আমরা গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ এবং ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমাদের মূল বক্তব্য ছিল প্রশাসনের উদাসীনতা ও দ্বৈত নীতির বিরুদ্ধে। বিশেষ করে সাজিদ হত্যাকান্ডের ০৫ (পাঁচ) মাস অতিবাহিত হলেও এখনও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না হওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের ক্ষেত্রে নানা অযৌক্তিক আপত্তি আরোপ করার বিরুদ্ধে।

তারা আরও বলেন, প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে রাত ১১টা পর্যন্ত ছাত্রী হলের অনুষ্ঠান উপভোগের মত ঘটনাগুলোর মাধ্যমে যে বৈষম্য ও অসংগতি প্রকাশ পেয়েছে- সেই বিষয়গুলোই আমাদের বক্তব্যের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। তবে, দুঃখজনকভাবে বক্তব্য প্রদানের সময় অনাকাঙ্খিত ও শালীনতাবিরোধী কিছু ভাষার ব্যবহার হয়েছে যা কোনোভাবেই আমাদের কাম্য ছিল না। এজন্য সম্মানিত শিক্ষকদের নিকট আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

তারা আরও বলেন, শিক্ষক সমাজ জাতির বিবেক এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনের প্রধান কারিগর। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন করা আমাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও সাংগঠনিক নীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। উক্ত মন্তব্য কোনোভাবেই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের অবস্থান, রাজনৈতিক দর্শন কিংবা সাংগঠনিক শৃঙ্খলাকে প্রতিফলিত করে না। ভবিষ্যতে এধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে বিষয়ে আমরা আরও দায়িত্বশীল, সংযত ও সতর্ক ভূমিকা পালন করব।

উল্লেখ্য, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য রাফিজ আহমেদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ছাত্র-উপদেষ্টা এবং প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতির বিষয়ে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর মন্তব্য করেন আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ, সদস্য নুর উদ্দিন এবং রাফিজ আহমেদ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow