ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করার বড় পরিকল্পনা ইরানের

ইসরায়েলকে গত জুন মাসেই ধরাশায়ী করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। দুই দেশের মধ্যে তথাকথিত যুদ্ধবিরতি চললেও বাকবিতণ্ডায় থেমে নেই তারা। কিছুদিন আগেই ইরান ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া দেখিয়েছে, এতেই ইসরায়েলের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। আর সম্প্রতি আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এবার ইরান টার্গেট করেছে ইসরায়েলের সাইবার দুনিয়া। দেশটিতে শক্তিশালী সাইবার হামলা চালিয়েছে আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশ। ইরানি হ্যাকাররা ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী সাইবার হামলা চালিয়েছে। এমন দাবি করেছে একটি হিব্রু ভাষার প্রযুক্তিবিষয়ক গণমাধ্যম। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিব্রু ভাষার পিসি ম্যাগাজিন জানায়, যদিও ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সাইবার যুদ্ধ নতুন কোনো বিষয় নয়, গেল তিন বছর ধরে এই সংঘাত চলমান রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সাইবার যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে নাশকতামূলক হামলা, গোয়েন্দা কার্যক্রম এবং জনমত প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশন। এদিকে, চলতি বছরের জুন মাসে শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধের পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানি সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকাররা দ্রুত তাদের কৌ

ইসরায়েলকে নিশ্চিহ্ন করার বড় পরিকল্পনা ইরানের
ইসরায়েলকে গত জুন মাসেই ধরাশায়ী করেছিল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান। দুই দেশের মধ্যে তথাকথিত যুদ্ধবিরতি চললেও বাকবিতণ্ডায় থেমে নেই তারা। কিছুদিন আগেই ইরান ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া দেখিয়েছে, এতেই ইসরায়েলের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। আর সম্প্রতি আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এবার ইরান টার্গেট করেছে ইসরায়েলের সাইবার দুনিয়া। দেশটিতে শক্তিশালী সাইবার হামলা চালিয়েছে আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশ। ইরানি হ্যাকাররা ইসরায়েলি শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ও প্রভাবশালী সাইবার হামলা চালিয়েছে। এমন দাবি করেছে একটি হিব্রু ভাষার প্রযুক্তিবিষয়ক গণমাধ্যম। বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিব্রু ভাষার পিসি ম্যাগাজিন জানায়, যদিও ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সাইবার যুদ্ধ নতুন কোনো বিষয় নয়, গেল তিন বছর ধরে এই সংঘাত চলমান রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সাইবার যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে নাশকতামূলক হামলা, গোয়েন্দা কার্যক্রম এবং জনমত প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত বিভিন্ন অপারেশন। এদিকে, চলতি বছরের জুন মাসে শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধের পর ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানি সাইবার হামলা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকাররা দ্রুত তাদের কৌশল পরিবর্তন ও অভিযোজন করে সাইবার জগতে কার্যকর হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।  পিসি ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ এটি স্বীকৃত হবে যে চলতি বছরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাইবার আঘাত হানার ক্ষেত্রে ইরানই শীর্ষে অবস্থান করছে, যদিও তেল আবিব নিজেকে প্রযুক্তিগতভাবে উদ্ভাবনী ও সাইবার নিরাপত্তায় নেতৃত্বদানকারী দেশ হিসাবে তুলে ধরে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, জুন মাসে ‘জায়নিস্ট শাসনব্যবস্থা’র বিরুদ্ধে সাইবার হামলার সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ছোট ও মাঝারি আকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।  হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তুতে ছিল ল’ ফার্ম, নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, মানবসম্পদ সেবাদাতা সংস্থা এবং লজিস্টিকস সেবাপ্রদানকারী কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে কাস্টমস ক্লিয়ারিং প্রতিষ্ঠান ও যোগাযোগ অবকাঠামো সংক্রান্ত কোম্পানিগুলোকেও দখলে নেওয়ার দাবি করা হয়। প্রতিবেদনের আরেক অংশে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় সাইবার আঘাত হানার জন্য দায়ী কয়েকটি হ্যাকিং গ্রুপের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, বিপুলসংখ্যক হামলার মধ্যে কয়েকটি গ্রুপ বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুডিওয়াটার (MoodyWater), চার্মিং কিটেন (Charming Kitten), ডার্কবিট (DarkBit), ফিনিক্স সাইবার স্টর্ম (Phoenix Cyber Storm) এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে হানজালার নাম উঠে এসেছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow