ইসির সংলাপে ইবরাহিম থাকায় ১২ দলের নিন্দা, কল্যাণ পার্টির প্রতিবাদ
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সংলাপে অংশ নেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটির একাংশ ও বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোট। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির চলমান সংলাপে অংশ নেন সৈয়দ ইবরাহিম। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিতর্কিত ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে কল্যাণ পার্টির একাংশ। সোমবার ইসিতে উপস্থিত হয়ে কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ লিখিত বক্তব্যে সংলাপে ইবরাহিমকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদ জানান। অন্যদিকে একই অভিযোগে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর, ‘আমি, তুমি ও ডামি’ নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের বিতর্কিত চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, য
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম নির্বাচন কমিশনে (ইসি) সংলাপে অংশ নেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটির একাংশ ও বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোট।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ইসির চলমান সংলাপে অংশ নেন সৈয়দ ইবরাহিম। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বিতর্কিত ওই নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে কল্যাণ পার্টির একাংশ।
সোমবার ইসিতে উপস্থিত হয়ে কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ লিখিত বক্তব্যে সংলাপে ইবরাহিমকে আমন্ত্রণ জানানোর প্রতিবাদ জানান। অন্যদিকে একই অভিযোগে ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, নির্বাচন কমিশনের চলমান সংলাপে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর, ‘আমি, তুমি ও ডামি’ নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের বিতর্কিত চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যিনি জুলাই বিপ্লবের সরাসরি বিরোধিতা করেছেন। উনার নামে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ও নির্বাচনি এলাকায় একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। এমন একজন বিতর্কিত ব্যক্তিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়ে কমিশন পুরো প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
শামসুদ্দিন পারভেজ আরও বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসর, আওয়ামী লীগের দোসর ইবরাহিমের নামে মামলা আছে। অথচ জেলে থাকার পরিবর্তে তিনি আজকে ইসির সংলাপে কেন আমরা এর ব্যাখ্যা চাই। ইবরাহিমকে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। কল্যাণ পার্টির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা কল্যাণ পার্টি থেকে তাকে বহিষ্কার করেছি।
শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার উপেক্ষা করে এই আমন্ত্রণ এমন এক রাজনৈতিক পরিবেশকে বৈধতা দেয়, যা দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারী শাসনকে টিকিয়ে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। সংলাপকে প্রকৃত অর্থে অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে হবে, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে অবদানহীন দলের অংশগ্রহণ পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং কমিশনকে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। গণতন্ত্র নিয়ে ছলচাতুরি নয়, বরং জনগণের কণ্ঠস্বরকে সত্যিকারভাবে প্রতিনিধিত্ব করার জন্যই সংলাপ হওয়া উচিত। অন্যথায় কোনো সংলাপই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না।
১২ দলীয় জোটের প্রতিবাদ
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের আমন্ত্রণের প্রতিবাদ নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ১২ দল। দলগুলো হলো, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাতীয় দল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশ, ইসলামিক পার্টি, ইউনাইটেড লিবারেল পার্টি, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল পিএনপি ও নয়া গণতান্ত্রিক পার্টি। বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক ১২ দলীয় জোটও আলাদা লিখিত বক্তব্যে একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তাদের প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের সংলাপে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও আমি, তুমি ও ডামি নির্বাচনে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার উপেক্ষা করে এই আমন্ত্রণ এমন এক রাজনৈতিক পরিবেশকে বৈধতা দেয়, যা দীর্ঘদিন ধরে স্বৈরাচারী শাসনকে টিকিয়ে রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন।
জোটটি মনে করে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে যেসব দল স্বৈরাচারী শক্তির সহযোগী হিসেবে পরিচিত, তাদের সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করা ‘ভুল রাজনৈতিক বার্তা’।
তারা দাবি করে—অগণতান্ত্রিক দলগুলোর অংশগ্রহণ প্রত্যাহার, সংলাপের কাঠামোকে দায়বদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা এবং কমিশনের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণতন্ত্র নিয়ে ছলচাতুরি নয়। জনগণের কণ্ঠস্বরকে সত্যিকারভাবে প্রতিনিধিত্ব করলেই সংলাপ গ্রহণযোগ্যতা পাবে।
জোটটি ইসির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনে সব নাগরিকের সংহতি কামনা করেছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল-পিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ মোহাম্মদ লিটন, এবং নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এম.এ মান্নান।
এমওএস/এমএইচএ/এমএমএআর/জেআইএম
What's Your Reaction?