এআইকে অন্ধ বিশ্বাস করলে বিপদে পড়তে পারেন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই যতই উন্নত হোক, তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা বিপজ্জনক এই সতর্কবার্তাই দিয়েছেন গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই। তার মতে, চকচকে প্রযুক্তি মানেই সবসময় নিখুঁত নয়, আর এআইও এর ব্যতিক্রম নয়। গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য বহু স্তরে যাচাই-বাছাই করে, কিন্তু জেনারেটিভ এআই এখনো ভুল করার সম্ভাবনা রাখে। তাই এআই যা বলছে তা যাচাই না করে গ্রহণ করলে ঠকতে হবে। তিনি বলেন, এআই অনেক ক্ষেত্রে দারুণ সাহায্য করতে পারে বিশেষ করে লেখালেখি, আইডিয়া তৈরি কিংবা স্টার্টিং পয়েন্ট খুঁজে পেতে। কিন্তু এটাকে কখনোই চূড়ান্ত তথ্যসূত্র হিসেবে ধরা উচিত নয়। এআই কেন ভুল করে, এরও কিছু কারণ আছে। এটি আসলে শেখা ডেটার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যদ্বাণী করে উত্তর তৈরি করে ফলে তথ্য না থাকলে অনুমান করে ভুল তথ্য বানিয়ে দিতে পারে, যাকে ‘হ্যালুসিনেশন’ বলা হয়। অনেক সময় এটি এমনভাবে উত্তর দেয় যাতে ব্যবহারকারী খুশি হয়, সত্যের সঙ্গে তা মিলুক বা না মিলুক। আবার আপডেট না থাকা ডেটা, ভাষাগত সীমাবদ্ধতা কিংবা আঞ্চলিক তথ্যের ভিন্নতা এসব পাওয়ার ফলে এআই ভুল তথ্য দিতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী যদি যাচাই
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই যতই উন্নত হোক, তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা বিপজ্জনক এই সতর্কবার্তাই দিয়েছেন গুগলের পেরেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাই। তার মতে, চকচকে প্রযুক্তি মানেই সবসময় নিখুঁত নয়, আর এআইও এর ব্যতিক্রম নয়।
গুগলের মতো প্রতিষ্ঠান সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য বহু স্তরে যাচাই-বাছাই করে, কিন্তু জেনারেটিভ এআই এখনো ভুল করার সম্ভাবনা রাখে। তাই এআই যা বলছে তা যাচাই না করে গ্রহণ করলে ঠকতে হবে। তিনি বলেন, এআই অনেক ক্ষেত্রে দারুণ সাহায্য করতে পারে বিশেষ করে লেখালেখি, আইডিয়া তৈরি কিংবা স্টার্টিং পয়েন্ট খুঁজে পেতে। কিন্তু এটাকে কখনোই চূড়ান্ত তথ্যসূত্র হিসেবে ধরা উচিত নয়।
এআই কেন ভুল করে, এরও কিছু কারণ আছে। এটি আসলে শেখা ডেটার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যদ্বাণী করে উত্তর তৈরি করে ফলে তথ্য না থাকলে অনুমান করে ভুল তথ্য বানিয়ে দিতে পারে, যাকে ‘হ্যালুসিনেশন’ বলা হয়। অনেক সময় এটি এমনভাবে উত্তর দেয় যাতে ব্যবহারকারী খুশি হয়, সত্যের সঙ্গে তা মিলুক বা না মিলুক। আবার আপডেট না থাকা ডেটা, ভাষাগত সীমাবদ্ধতা কিংবা আঞ্চলিক তথ্যের ভিন্নতা এসব পাওয়ার ফলে এআই ভুল তথ্য দিতে পারে। ফলে ব্যবহারকারী যদি যাচাই না করে সরাসরি ব্যবহার করেন, তাহলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঝুঁকি থেকেই যায়।
এই সতর্কবার্তা সামনে আসতেই অনেক বিশেষজ্ঞ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানের উচিত এআইকে আরও নিখুঁত করা, ব্যবহারকারীকে বারবার ‘নিজে যাচাই করুন’ বলে দায় সরানো নয়। বিশেষ করে গুগল, ওপেনএআই বা মাইক্রোসফটের মতো প্রতিষ্ঠান কোটি কোটি মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে; তাই তাদের এআই-এ ভুল কমানোর দায়িত্ব আরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এআই ভুল করলে তার প্রভাব পড়তে পারে চিকিৎসা, অর্থনীতি, রাজনীতি বা সংবাদ পরিবেশনে যা কখনো কখনো বিপর্যয়ও তৈরি করতে পারে।
সুন্দর পিচাইয়ের সতর্কবার্তা এক অর্থে এআই ব্যবহারের ওপর নতুন প্রশ্নও তোলে। এতদিন মানুষ ধরে নিত গুগল সবচেয়ে নির্ভুল তথ্য দেয়, কিন্তু এখন গুগলই বলছে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না। এতে সাধারণ ব্যবহারকারীর মনে প্রশ্ন জাগে: তাহলে কোনটা সঠিক? এআই কি সত্যিই নির্ভরযোগ্য? মানুষের যাচাই-বাছাই ক্ষমতা কি প্রযুক্তির কাছে হারিয়ে যাবে? কেউ কেউ মজা করে বলছেন এটা ঠিক যেন গাড়ি কোম্পানি নিজেই বলছে, ‘গাড়ি ভালো, তবে ব্রেক নাও ধরতে পারে সতর্ক থাকবেন!’
তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এআই সাহায্য করার জন্য এসেছে, মানুষের জায়গা নিতে নয়। সচেতনভাবে ব্যবহার করলে এটি অসাধারণ সহযোগী হতে পারে। শুধু মনে রাখতে হবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে, যেমন স্বাস্থ্য, আইন, টাকা-পয়সা বা সংবাদ এআই যা বলছে তা অবশ্যই বিশ্বস্ত সূত্রে যাচাই করতে হবে। এআই ঠিক পথ দেখাতে পারে, কিন্তু সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত মানুষকেই নিতে হয়।
সুন্দর পিচাইয়ের বক্তব্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রযুক্তি যত উন্নতই হোক, মানুষের বিচারবুদ্ধির বিকল্প নেই। এআই দ্রুত, স্মার্ট এবং তথ্যসমৃদ্ধ কিন্তু নিখুঁত নয়। তাই প্রযুক্তি ব্যবহার করুন, কিন্তু ভাবনাকে থামিয়ে নয়; বরং নিজের বুদ্ধিকে সঙ্গী করে। এভাবেই এআই হবে সহায়ক, আর আপনি থাকবেন নিরাপদ।
আরও পড়ুন
সোশ্যাল মিডিয়া নজর রাখছে আপনার ব্যক্তিগত জীবনেও
এআই দিয়ে বানানো নাকি আসল ছবি চিনবেন যেভাবে
কেএসকে/এমএস
What's Your Reaction?