বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্যকে পদত্যাগ চাওয়ার কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এসময় উপাচার্যের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসতে চাইলে আগামীকাল রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে বসতে সম্মতি দেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীদের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। মতবিনিময় সভায় উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তবে একদফা দাবি অর্থাৎ উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি অব্যাহত রেখে বসতে চান তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণসহ স্বৈরাচারী দোসরদের পুনর্বাসন যাতে না করা হয় সে বিষয়েও আলোচনা করা হয়। পরে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় উপাচার্যের পদত্যাগের কারণ উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা (শিক্ষার্থীরা)।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা কারণগুলো উল্লেখ করে বলেন, প্রথমত উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেননি এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে কোনো কাজই করা হয়নি। বিতর্কিত লোককে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে বসানো হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বিতর্কিত লোককে কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সময়ের বাইরে রাত ৮টায় বিতর্কিত কোষাধ্যক্ষকে অফিসে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া। রাত ২টায় সহকারী রেজিস্ট্রারকে জোর করে অফিসিয়াল কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা। যেটি ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয় যোগ দেওয়ার আগেই করা হয়।
বক্তারা বলেন, স্বৈরাচার সরকারের বিভিন্ন নাম এবং সিগনেচার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এখন পর্যন্ত না সরানো। জুলাই বিপ্লবে আক্রমণ করা ছাত্রলীগের বিচার করতে ব্যর্থ হওয়া। ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা উপাচার্যের কাছ থেকে অসহযোগিতা পাওয়া। বিভিন্ন বিভাগের ফলাফল শিটে স্বাক্ষরে বিলম্ব করা। সর্বশেষ, শিক্ষার্থীদের দেওয়া ২২ দফার কোনো বাস্তবায়নের আগ্রহ না দেখানো।
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম শাহেদ জানান, আমরা একদফা দাবি অব্যাহত রেখে ভিসির পক্ষ থেকে যে আলোচনার কথা বলা হয়েছে সেখানে বসতে চাই। এটা আমাদের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি আলোচনার পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।