একাই সাড়ে চারশো শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

  সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতির কারণে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের মাইলোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে চারশো শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা একাই নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাদা ওসমানী। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ফাঁকা পড়ে আছে। কোনো সহকারী শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের সামনে অনেক অভিভাবক দাঁড়িয়েছিলেন। অভিভাবকরা জানান, সকালে কয়েকজন ম্যাডাম আসছিলেন, তবে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা শুরু করলে তারা স্কুল থেকে চলে যান। জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাদা ওসমানী বলেন, সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। আমরা চাই তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। জবাবদিহিতার জায়গা থেকে আমাকে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যেন নষ্ট না হয়, সেই দিকটাও আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আমার অফিস সহায়কের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, ৫টি শ্রেণির মোট ৫১

একাই সাড়ে চারশো শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক

 

সহকারী শিক্ষকদের চলমান কর্মবিরতির কারণে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের মাইলোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাড়ে চারশো শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষা একাই নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাদা ওসমানী। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ ফাঁকা পড়ে আছে। কোনো সহকারী শিক্ষককে পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের সামনে অনেক অভিভাবক দাঁড়িয়েছিলেন।

অভিভাবকরা জানান, সকালে কয়েকজন ম্যাডাম আসছিলেন, তবে প্রধান শিক্ষক পরীক্ষা শুরু করলে তারা স্কুল থেকে চলে যান।

জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাদা ওসমানী বলেন, সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আছে। আমরা চাই তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। জবাবদিহিতার জায়গা থেকে আমাকে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে। তাছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ যেন নষ্ট না হয়, সেই দিকটাও আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে। আমি প্রাক্তন কয়েকজন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও আমার অফিস সহায়কের সহযোগিতা নিয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ৫টি শ্রেণির মোট ৫১৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৫০ জন আজ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সবার দায়িত্ব একাই পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে উপস্থিত কয়েকজন অভিভাবক বলেন, শুধু মাত্র একজন শিক্ষকের পক্ষে পাঁচটি ক্লাসের পরীক্ষা নেওয়া খুবই কষ্টকর। এতে পরীক্ষার মান নষ্ট হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎও ঝুঁকিতে পড়ছে।

সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন আন্দোলনের মোহনগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক ও কাজীয়াটি পালেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহজাহান আলম বিপ্লব বলেন, সরকার আমাদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন করে দ্রুত সিদ্ধান্ত দিলেই এই সংকট নিরসন হবে।


এইচ এম কামাল/এফএ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow