এক বছরে ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন, দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেন এক বছরে পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ইউক্রেনের প্রায় পাঁচ লাখ সেনা নিহত বা হতাহত হয়েছে।  বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলৌসভ দাবি করেছেন, চলতি বছরেই ইউক্রেন প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে। বুধবার মস্কোয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন। বেলৌসভের দাবি অনুযায়ী, গত এক বছরে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এর ফলে জোরপূর্বক বেসামরিক নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেও বাহিনী পুনর্গঠন করা কিয়েভের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে। এর ফলেই বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ মানুষকে সেনায় নিয়োগ দিয়ে বাহিনী পূরণ করার সক্ষমতা কিয়েভ হারিয়েছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে ইউক্রেন ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি ছিল পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহকৃ

এক বছরে ৫ লাখ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন, দাবি রাশিয়ার

ইউক্রেন এক বছরে পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৫ সালে ইউক্রেনের প্রায় পাঁচ লাখ সেনা নিহত বা হতাহত হয়েছে। 

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম আরটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রেই বেলৌসভ দাবি করেছেন, চলতি বছরেই ইউক্রেন প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে। বুধবার মস্কোয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি। বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন।

বেলৌসভের দাবি অনুযায়ী, গত এক বছরে ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতা প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। এর ফলে জোরপূর্বক বেসামরিক নাগরিকদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেও বাহিনী পুনর্গঠন করা কিয়েভের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে। এর ফলেই বাধ্যতামূলকভাবে সাধারণ মানুষকে সেনায় নিয়োগ দিয়ে বাহিনী পূরণ করার সক্ষমতা কিয়েভ হারিয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২০২৫ সালে ইউক্রেন ১ লাখ ৩ হাজারের বেশি অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম হারিয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ৫০০টি ছিল পশ্চিমা দেশগুলোর সরবরাহকৃত, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

২০২২ সালে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত তীব্র হওয়ার পর ইউক্রেন জেনারেল মোবিলাইজেশন ঘোষণা করে। সে সময় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশ ছাড়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। গত বছর ইউক্রেন বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগের বয়সসীমা ২৭ থেকে কমিয়ে ২৫ বছর করে এবং নিয়োগ বিধি আরও কঠোর করে।


আরটি জানিয়েছে, এই বাধ্যতামূলক নিয়োগ কার্যক্রম ঘিরে ইউক্রেনে একাধিক সহিংস ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, সেনা নিয়োগ কর্মকর্তারা অনিচ্ছুক তরুণদের মারধর করছেন, রাস্তায় ধাওয়া করছেন এবং বাধা দিতে আসা সাধারণ মানুষকেও হুমকি দিচ্ছেন।

রাশিয়ার দাবি, যুদ্ধক্ষেত্রে ধারাবাহিক পিছিয়ে পড়া ও জনবল সংকটের কারণে ইউক্রেনের নিয়োগ অভিযান আরও কঠোর ও সহিংস হয়ে উঠেছে। তবুও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও ফ্রন্টলাইনের কমান্ডাররা অভিযোগ করেছেন, নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সেনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না, যার ফলে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব তথ্য ও পরিসংখ্যান রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ভিন্ন বা স্বাধীনভাবে যাচাই করা তথ্য পাওয়া যায়নি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow