এখন থেকে মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবেন না: অ্যাটর্নি জেনারেল
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসায় এখন থেকে মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসায় আজ বাংলাদেশের মানুষ আগামীদিনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন। দিনের ভোট রাতে হবে না। মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবেন না। এ রকম একটি গণতান্ত্রিক মহাসড়কে চলা শুরু করলো বলে আমরা মনে করি। তিনি বলেন, আপিল বিভাগ আগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়টি আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল করেছেন। আপিল বিভাগ এই রায়কে প্রসপেক্টিভ ইফেক্ট দিয়েছেন। অর্থাৎ আগামী সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর এই রায় কার্যকর হবে। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলো। আরও পড়ুনতত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলো, কোন নির্বাচনে কার্যকর মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে ১৯৯৬ সালে আনা হয়েছিল। সেটাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না বলে,
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসায় এখন থেকে মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবেন না বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) আপিল বিভাগের রায়ের পর সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরে আসায় আজ বাংলাদেশের মানুষ আগামীদিনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন। দিনের ভোট রাতে হবে না। মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবেন না। এ রকম একটি গণতান্ত্রিক মহাসড়কে চলা শুরু করলো বলে আমরা মনে করি।
তিনি বলেন, আপিল বিভাগ আগে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দিয়েছিলেন। সেই রায়টি আপিল বিভাগ সর্বসম্মতিক্রমে বাতিল করেছেন। আপিল বিভাগ এই রায়কে প্রসপেক্টিভ ইফেক্ট দিয়েছেন। অর্থাৎ আগামী সংসদ ভেঙে যাওয়ার পর এই রায় কার্যকর হবে। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলো।
আরও পড়ুন
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরলো, কোন নির্বাচনে কার্যকর
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে ১৯৯৬ সালে আনা হয়েছিল। সেটাকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক না বলে, এটা সাংবিধানিক বলে ঘোষিত হলো। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি সহায়ক ব্যবস্থা হিসেবেই হয়তো পূর্ণাঙ্গ রায়ে আসবে। কারণ এই লাইনে শুনানির ভিত্তিতেই সমাপ্ত হয়েছে।
পরের নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে সংবিধানের ৫৮(গ)৩ অনুসারে প্রধান বিচারপতিই কি এই সরকারের প্রধান হবেন? জুলাই সনদে কিন্তু ভিন্ন ধরনের কথা বলা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পূর্ণাঙ্গ রায় এলে সেটা দেখা যাবে।
পঞ্চদশ সংশোধনী মামলার সঙ্গে এই রায় কোনোভাবে সাংঘর্ষিক হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিল। এটা পঞ্চদশ সংশোধনীর ইস্যু। অসৎ উদ্দেশ্যে এই সংশোধনী আনা হয়েছিল উল্লেখ করে হাইকোর্ট এটাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, সে পার্টটা আপিল বিভাগে চ্যালেঞ্জ হয়নি। যদি চ্যালেঞ্জ হয়ও, আপিল বিভাগ এই রায়কে অতিক্রম করবে না। এটা রিভিউয়ের রায়। রিভিউয়ে আপিলের অনুমতি দিয়ে এই রায়টা হয়েছে।
তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পূর্বের অবস্থায় ফিরে গেলো। পরবর্তী সংসদ ভেঙে যাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের যে বিধান রয়েছে, সেটা কার্যকর হলো।
এর আগে এ সংক্রান্ত বিষয়ে রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ ও নিয়মিত বেঞ্চ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে পুনর্বহালের রায় ঘোষণা করেন।
আপিল বিভাগের বেঞ্চের অপর ছয় বিচারপতি হলেন- মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।
এফএইচ/ইএ/এএসএম
What's Your Reaction?