‘ওয়ানডে ছেড়ে কোহলির টেস্ট খেলাই চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল’

টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতা আবারও উঠিয়ে এনেছে বিরাট কোহলির টেস্ট অবসর নিয়ে বিতর্ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান সিরিজে ভারতের লড়াইহীন পারফরম্যান্স সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলেছে, আর সেই আলোচনাতেই নতুন করে আগুন ঢেলেছেন কোহলির সাবেক সতীর্থ শ্রীভাতস গোস্বামী। ভারতের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটার গোস্বামী মনে করেন, কোহলির ওয়ানডে নয়, বরং টেস্ট ক্রিকেটই চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল—কারণ এই ফরম্যাটটিই সবচেয়ে বেশি মিস করছে তার তীব্রতা, উদ্দীপনা এবং নেতৃত্বের বিশ্বাস। এক্স (টুইটার)-এ গোস্বামী লিখেছেন, ‘আদর্শভাবে বিরাটের ওডিআই ছেড়ে টেস্ট খেলাটা চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। তিনি শুধু একজন ব্যাটার নন—তার এনার্জি, আবেগ আর দলের মধ্যে বিশ্বাস সঞ্চার করার ক্ষমতাই টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ঘাটতি।’ তার এই মন্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—ভারত কি কোহলিকে ভুল সময়ে বিদায় দিয়েছে? এদিকে গৌহাটি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিং ধস এখনো ছাপ ফেলছে কাগজে-কলমে। প্রথম ইনিংসে ২০১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছে ঋষভ পান্তের দল। প্রোটিয়ারা প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ রান

‘ওয়ানডে ছেড়ে কোহলির টেস্ট খেলাই চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল’

টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের ধারাবাহিক ব্যর্থতা আবারও উঠিয়ে এনেছে বিরাট কোহলির টেস্ট অবসর নিয়ে বিতর্ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান সিরিজে ভারতের লড়াইহীন পারফরম্যান্স সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলেছে, আর সেই আলোচনাতেই নতুন করে আগুন ঢেলেছেন কোহলির সাবেক সতীর্থ শ্রীভাতস গোস্বামী।

ভারতের সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটার গোস্বামী মনে করেন, কোহলির ওয়ানডে নয়, বরং টেস্ট ক্রিকেটই চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল—কারণ এই ফরম্যাটটিই সবচেয়ে বেশি মিস করছে তার তীব্রতা, উদ্দীপনা এবং নেতৃত্বের বিশ্বাস।

এক্স (টুইটার)-এ গোস্বামী লিখেছেন, ‘আদর্শভাবে বিরাটের ওডিআই ছেড়ে টেস্ট খেলাটা চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। তিনি শুধু একজন ব্যাটার নন—তার এনার্জি, আবেগ আর দলের মধ্যে বিশ্বাস সঞ্চার করার ক্ষমতাই টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ঘাটতি।’

তার এই মন্তব্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক—ভারত কি কোহলিকে ভুল সময়ে বিদায় দিয়েছে?

এদিকে গৌহাটি টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ব্যাটিং ধস এখনো ছাপ ফেলছে কাগজে-কলমে। প্রথম ইনিংসে ২০১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি হারিয়ে ফেলেছে ঋষভ পান্তের দল।

প্রোটিয়ারা প্রথম ইনিংসে ৪৮৯ রান তুলে ২৮৮ রানের লিড নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও তারা দিন শেষে ২৬/০, মোট লিড ৩১৪ রান—দু’দিন বাকি থাকতে ভারত কার্যত হার এড়ানোর লড়াইয়ে। এর আগে কলকাতায় সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩০ রানে হেরেছিল ভারত।

অর্থাৎ আরেকটি হার মানেই ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ পরাজয়, যা আধুনিক যুগে ভারতের জন্য বিরল ঘটনা।

এক বছরের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হারের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও পরাজয়ের হাতছানি—ভারতের টেস্ট ক্রিকেট যেন পথ হারিয়েছে।

সবাই মনে মনে একটাই প্রশ্ন তুলছে—কোহলির অবসর কি খুব তাড়াহুড়ো করে নেওয়া হয়েছিল?

গোস্বামীর মন্তব্যের পর এই তর্ক আরও প্রবল হয়েছে। ভারতের পরবর্তী টেস্ট চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু একটাই—কোহলিকে কি আবার ফেরানোর কথা ভাবা উচিত?

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow