কক্সবাজারের সাবেক ডিসিসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও আরও ৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে আদালতে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আবদুর রহমানের আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হলেও বিচারক এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। মামলার আবেদন করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারি আতিকুল ইসলামের আইনজীবীরা। বাদি পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালত আবেদনটি নিয়ে ফাইল করেছেন এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) এ.কে.এম আরিফ উদ্দীন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. রেজাউর রশিদ খন্দকার, কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষন কান্তি দাস, সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মোহাম্মদ সাফি ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রজ্ঞান চাকমা, সাবেক ডেপুটি কালেক্টর (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন, গার্ডিয়ান এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাউটর মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন এবং ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা। অভিযোগে বলা হয়েছে, কক্সবাজা
কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও আরও ৮ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে আদালতে ফৌজদারী মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ আবদুর রহমানের আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হলেও বিচারক এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি।
মামলার আবেদন করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারি আতিকুল ইসলামের আইনজীবীরা। বাদি পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আদালত আবেদনটি নিয়ে ফাইল করেছেন এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত প্রদান করবেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) এ.কে.এম আরিফ উদ্দীন, নির্বাহী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মো. রেজাউর রশিদ খন্দকার, কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বিভীষন কান্তি দাস, সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং) মোহাম্মদ সাফি ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রজ্ঞান চাকমা, সাবেক ডেপুটি কালেক্টর (রাজস্ব) মোহাম্মদ আবুল হাসনাত খাঁন, গার্ডিয়ান এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাউটর মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন এবং ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল ব্যবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কক্সবাজার জেলার বাঁকখালী নদীর ৬ নম্বর ঘাট এলাকায় নাব্যতা উন্নয়নের জন্য বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক সরাসরি উত্তোলিত ৫০ লাখ ঘনফুট ড্রেজড ম্যাটেরিয়াল বিক্রয়ের নোটিশ স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। নিলামে অংশগ্রহণের জন্য উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল ২৪ নভেম্বর দরপত্র জমা দেন। প্রতিষ্ঠানটি প্রস্তাবিত মূল্যের সঙ্গে ৫% জামানতের টাকা (১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা) ব্যাংক পে-অর্ডারের মাধ্যমে প্রদান করে।
এরপর বিকেল ৪ টার পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উন্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত নিলামে মোট ১২ জন দরপ্রস্তাবকারী অংশ নেন। উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল সর্বোচ্চ দর হিসেবে প্রতি ঘনফুট ৫.৩৭ টাকায় মোট ২ কোটি ৬৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকার প্রস্তাব দেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রস্তাব ছিল প্রতি ঘনফুট ৪.৫০ টাকায় মোট ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বাদি পক্ষের অভিযোগ, উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের সর্বোচ্চ দর নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযুক্তরা ৪০ লাখ টাকা নগদ ঘুষ দাবি করেন। তারা আরও জানিয়ে দেন, যদি অন্য কেউ এই ঘুষ পরিশোধ করে, তাহলে তাকে কার্যাদেশ প্রদান করা হবে। উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরপ্রস্তাবকারীকে কার্যাদেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে আদালত পরবর্তীতে শুনানি করবেন।
What's Your Reaction?