কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৭৪ শতাংশের বেশি রোহিঙ্গা

কক্সবাজার জেলায় ডেঙ্গু রোগে মোট আক্রান্তের ৭৪ শতাংশের বেশি রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সঙ্গে মোট মৃত্যুর ৯০ শতাংশের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বলেও উল্লেখ করা হয়। কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বছর কক্সবাজার জেলায় ৭ হাজার ৭১৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭২০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। আক্রান্তের হার ৭৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে ১০ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় বাংলাদেশি। ফলে মৃত্যু হারে রোহিঙ্গার হার ৯০ দশমিক ৯০ শতাংশ। জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক জানিয়েছেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফিল্ড হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার শহর, রোহিঙ্গা শিবির ও আশপাশের এলাকায় এডিস মশার প্রজনন ঠেকাতে ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক পণ্য, নালা-নর্দমা, খা

কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৭৪ শতাংশের বেশি রোহিঙ্গা

কক্সবাজার জেলায় ডেঙ্গু রোগে মোট আক্রান্তের ৭৪ শতাংশের বেশি রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। একই সঙ্গে মোট মৃত্যুর ৯০ শতাংশের বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক বলেও উল্লেখ করা হয়। কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যানে এমন তথ্য উঠেছে।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বছর কক্সবাজার জেলায় ৭ হাজার ৭১৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৭২০ জন রোহিঙ্গা নাগরিক। আক্রান্তের হার ৭৪ দশমিক ১২ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। যেখানে ১০ জন রোহিঙ্গা ও একজন স্থানীয় বাংলাদেশি। ফলে মৃত্যু হারে রোহিঙ্গার হার ৯০ দশমিক ৯০ শতাংশ।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদুল হক জানিয়েছেন, ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ফিল্ড হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার শহর, রোহিঙ্গা শিবির ও আশপাশের এলাকায় এডিস মশার প্রজনন ঠেকাতে ময়লা-আবর্জনা, প্লাস্টিক পণ্য, নালা-নর্দমা, খাল-বিল পরিষ্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ঘনবসতি, বর্জ্য, জমে থাকা আবর্জনা এবং বিভিন্ন নালায় পানি জমে থাকায় মশার উপদ্রব বাড়াতে সাহায্য করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উষ্ণ তাপমাত্রা মশা এবং অন্যান্য রোগ বহনকারী জীবের প্রজনন ও বেঁচে থাকার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে, যা মশার উপদ্রব বাড়াতে ভূমিকা রাখছে। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার উভয়ই বেশি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow