কক্সবাজারে মাদক মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ইয়াবা পাচার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকার মৃত কাদের বকশের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৩) এবং মৌলভীবাজার এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৮)। রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১৬ সালের ১৬ জুন রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের এমজি ব্যাংকার এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বড় একটি মাদক চালান ঢোকার খবর পায় বিজিবি। পরে বিজিবির একটি দল সেখানে অবস্থান নিয়ে সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে দুই বস্তা কাঁধে নিয়ে আসা পাঁচজন সন্দেহভাজনকে থামার নির্দেশ দেয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে দুজনকে আটক করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়। আটকদের কাছ থেকে ৪ কেজি ৩১৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য ২৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ঘটনার পরদিন বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে ছয়জন

কক্সবাজারে মাদক মামলায় দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

কক্সবাজারের টেকনাফে সাড়ে ২৪ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ও ইয়াবা পাচার মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং এলাকার মৃত কাদের বকশের ছেলে আব্দুর রহমান (৩৩) এবং মৌলভীবাজার এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৮)।

রোববার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিরাজুল ইসলাম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, ২০১৬ সালের ১৬ জুন রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের এমজি ব্যাংকার এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বড় একটি মাদক চালান ঢোকার খবর পায় বিজিবি। পরে বিজিবির একটি দল সেখানে অবস্থান নিয়ে সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে দুই বস্তা কাঁধে নিয়ে আসা পাঁচজন সন্দেহভাজনকে থামার নির্দেশ দেয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে দুজনকে আটক করা হয়। অন্যরা পালিয়ে যায়।

আটকদের কাছ থেকে ৪ কেজি ৩১৫ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ১ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য ২৪ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

ঘটনার পরদিন বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে টেকনাফ থানায় মামলা করেন।

মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আব্দুর রহমান ও নুর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক দুজনকেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ২৫ নভেম্বর একই আদালত ইয়াবা পাচারের আরেক মামলায় এক রোহিঙ্গাসহ দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং দুই রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই মামলায় একজনকে খালাস দেওয়া হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow