কান ধরে-নাকে খত দিয়ে দল ছাড়লেন বিএনপি কর্মী

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদর আংশিক) আসনে রাশেদ খাঁনকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়ায় কানে ধরে ও নাকে খত দিয়ে বিএনপি ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির এক স্থানীয় কর্মী। ওই কর্মীর নাম সাকিব হোসেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী। গত বৃহস্পতিবার)(২৫ ডিসেম্বর ) কালীগঞ্জ শহরের সোনালী ব্যাংকের পেছনে ওই কর্মী নাকে খত দিয়ে দল ত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই ঘটনার ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাকিব হোসেন নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। পাশাপাশি তিনি বিএনপির সক্রিয় কর্মী। সম্প্রতি ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদর আংশিক) আসনে বিএনপি থেকে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এ ঘটনায় কালীগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। নাকে খত দেওয়া সাকিব হোসেন বলেন, কালীগঞ্জে বিএনপির তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিল। তারা দুর্দিনে দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিল। কিন্তু রাশেদ খাঁন বিএনপির কেউ না, কালীগঞ্জের কেউ না। কালীগঞ্জের মানুষ রাশেদ খাঁনকে ভোট দেবে না। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এলেও তাকে আমরা ভোট দেব না। দল যেহেতু দুর্দিনের নেতাদের মূল্যায়ন করেনি,

কান ধরে-নাকে খত দিয়ে দল ছাড়লেন বিএনপি কর্মী

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদর আংশিক) আসনে রাশেদ খাঁনকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়ায় কানে ধরে ও নাকে খত দিয়ে বিএনপি ত্যাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন দলটির এক স্থানীয় কর্মী। ওই কর্মীর নাম সাকিব হোসেন। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী।

গত বৃহস্পতিবার)(২৫ ডিসেম্বর ) কালীগঞ্জ শহরের সোনালী ব্যাংকের পেছনে ওই কর্মী নাকে খত দিয়ে দল ত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই ঘটনার ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাকিব হোসেন নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করেন। পাশাপাশি তিনি বিএনপির সক্রিয় কর্মী। সম্প্রতি ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ-সদর আংশিক) আসনে বিএনপি থেকে গণঅধিকার পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। এ ঘটনায় কালীগঞ্জের স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন।

নাকে খত দেওয়া সাকিব হোসেন বলেন, কালীগঞ্জে বিএনপির তিনজন হেভিওয়েট প্রার্থী ছিল। তারা দুর্দিনে দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিল। কিন্তু রাশেদ খাঁন বিএনপির কেউ না, কালীগঞ্জের কেউ না। কালীগঞ্জের মানুষ রাশেদ খাঁনকে ভোট দেবে না। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এলেও তাকে আমরা ভোট দেব না। দল যেহেতু দুর্দিনের নেতাদের মূল্যায়ন করেনি, সেই ক্ষোভ থেকেই আমি নাকে খত দিয়ে বিএনপি ত্যাগ করেছি।

সাকিব হোসেন আরও বলেন, দলের হাইকমান্ডকে অনুরোধ করে জানাবো, এখনো সময় আছে এই আসনে দলের দুর্দিনের নেতাদের মূল্যায়ন করা হোক। তা না হলে আমার মতো হাজার হাজার নিবেদিত কর্মী ভোট দেবে না।

উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক ইলিয়াস রহমান মিঠু বলেন, কালীগঞ্জের তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা চরম হতাশায় ডুবে গেছে। দলের দুর্দিনের কাণ্ডারিরা বঞ্চিত হয়েছেন। সাধারণ ভোটাররা ক্ষুব্ধ। তারা কালীগঞ্জবাসীর বিপদে আপদে পাশে থাকা নেতাদের ভোট দিতে চায়। দল যেহেতু নিবেদিত প্রার্থীদের মূল্যায়ন করেনি, সেহেতু সাধারণ ভোটাররাই তাদের সিদ্ধান্ত নেবে। সাকিবের মতো হাজারো কর্মী আজ ব্যথিত।

এম শাহজাহান/এমএন/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow