কেক নষ্ট করায় শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করলেন শিক্ষক
সুনামগঞ্জে ক্লাস পার্টির কেক নষ্ট করায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে শহরের সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী মহিবুর রহমান আবির পৌর শহরের নতুন পাড়া এলাকার মুক্তি হোসেন আলীমের পুত্র। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম সাদ্দাম হোসেন। আহত শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে বিদ্যালয়ে যান শিক্ষার্থী আবির। কিন্তু আজকে ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস পার্টির আয়োজন করা হলে, ভুলবশত শিক্ষার্থী আবিরসহ তার সহপাঠীরা খেলার ছলে কেকটি সামান্য অংশ নষ্ট করে ফেলেন। এতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর কান দিয়ে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়। আহত শিক্ষার্থী মহিবুর রহমান আবির বলেন, খেলার ছলে হাত লেগে ক্লাস পার্টির কেকটি সামান্য নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে স্যার আমাকে অনেক মারধর করেছেন। আহত শিক্ষার্থীর মা পারভিন আক্তার বলেন, স্কুলের ক্লাস পার্টির কেক নষ্ট হওয়ায় আমার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন ওই শিক্ষক, পাশাপাশি আমাকে ফোন দিয়ে বলে কেম
সুনামগঞ্জে ক্লাস পার্টির কেক নষ্ট করায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকালে শহরের সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী মহিবুর রহমান আবির পৌর শহরের নতুন পাড়া এলাকার মুক্তি হোসেন আলীমের পুত্র। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম সাদ্দাম হোসেন।
আহত শিক্ষার্থীর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার মায়ের সঙ্গে বিদ্যালয়ে যান শিক্ষার্থী আবির। কিন্তু আজকে ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস পার্টির আয়োজন করা হলে, ভুলবশত শিক্ষার্থী আবিরসহ তার সহপাঠীরা খেলার ছলে কেকটি সামান্য অংশ নষ্ট করে ফেলেন। এতে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাদ্দাম হোসেন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর কান দিয়ে রক্ত ক্ষরণ শুরু হয়।
আহত শিক্ষার্থী মহিবুর রহমান আবির বলেন, খেলার ছলে হাত লেগে ক্লাস পার্টির কেকটি সামান্য নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে স্যার আমাকে অনেক মারধর করেছেন।
আহত শিক্ষার্থীর মা পারভিন আক্তার বলেন, স্কুলের ক্লাস পার্টির কেক নষ্ট হওয়ায় আমার ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন ওই শিক্ষক, পাশাপাশি আমাকে ফোন দিয়ে বলে কেমন সন্তান জন্ম দিয়েছি। একজন শিক্ষক এতটা কঠোর ও মুখের ভাষা এতটা খারাপ কেমনে হতে পারেন। আমি এর বিচার চাই।
তবে এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সাদ্দাম হোসেনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সরকারি জুবলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান খান বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি ডিসি অফিসে এসেছি। তবে আগামীকাল বুধবার এই ঘটনার সমাধান করে দেওয়ার জন্য আহত শিক্ষার্থীর পরিবারকে বিদ্যালয়ে আসতে বলেছি।
লিপসন আহমেদ/কেএইচকে/এএসএম
What's Your Reaction?