ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণে জড়িত ৮ জনের আজীবন কারাদণ্ড

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর ২০২২ সালে ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজনকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়ার একটি সামরিক আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, সংগঠিতভাবে অস্ত্র সংগ্রহ এবং দু’জনের ক্ষেত্রে বিস্ফোরক চোরাচালানের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার(২৭ নভেম্বর) দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন-ডনে অবস্থিত আদালত এ রায় দিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২০২২ সালের ৮ অক্টোবর একটি ট্রাকবোমা বিস্ফোরণে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্রিমিয়া সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়। এই বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত হন। রাশিয়া ও দখলকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিস্ফোরণের পর ইউক্রেন দাবি করেছিল যে, রাশিয়ার সামরিক লজিস্টিক ব্যাহত করতে হামলাটি চালানো হয়েছে। মস্কো জানিয়েছে, আক্রমণটি ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরিকল্পনায় হয়েছিল। তবে আদালতে অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন। তাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ

ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণে জড়িত ৮ জনের আজীবন কারাদণ্ড

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর ২০২২ সালে ক্রিমিয়া সেতু বিস্ফোরণের ঘটনায় আটজনকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়ার একটি সামরিক আদালত। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা, সংগঠিতভাবে অস্ত্র সংগ্রহ এবং দু’জনের ক্ষেত্রে বিস্ফোরক চোরাচালানের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার(২৭ নভেম্বর) দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন-ডনে অবস্থিত আদালত এ রায় দিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

২০২২ সালের ৮ অক্টোবর একটি ট্রাকবোমা বিস্ফোরণে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্রিমিয়া সেতুর একটি অংশ ধ্বংস হয়। এই বিস্ফোরণে পাঁচজন নিহত হন। রাশিয়া ও দখলকৃত ক্রিমিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সেতুটি দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

বিস্ফোরণের পর ইউক্রেন দাবি করেছিল যে, রাশিয়ার সামরিক লজিস্টিক ব্যাহত করতে হামলাটি চালানো হয়েছে। মস্কো জানিয়েছে, আক্রমণটি ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পরিকল্পনায় হয়েছিল। তবে আদালতে অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি করেন। তাদের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।

রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে এবং অঞ্চলটি তাদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে ওই সেতুটি নির্মাণ করেছিল। ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ব্যক্তিগতভাবে সেতুটি উদ্‌বোধন করেন এবং ট্রাক চালিয়ে সেটি পার হন। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সেতুটি একাধিকবার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।

কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow