খাগড়াছড়িতে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নসহ আট দফা দাবি জানিয়ে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা)।খাগড়াছড়ি সদরের তেঁতুলতলা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেএসএস-এমএন লারমার সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা। তিনি বলেন, 'চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ এক যুগের অধিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করেনি। আরও উদ্বেগের বিষয়, চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারও চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, 'চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে নিয়ে বিশেষ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের বিধান থাকলেও তা কার্যকর হয়নি।'তিনি আরও বলেন, "কোনো সরকারই পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তাদের দলীয় সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরিষদগুলো পরিচালনা করেছে।"সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুদর

খাগড়াছড়িতে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন

শান্তিচুক্তির বাস্তবায়নসহ আট দফা দাবি জানিয়ে খাগড়াছড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস-এমএন লারমা)।

খাগড়াছড়ি সদরের তেঁতুলতলা এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেএসএস-এমএন লারমার সাংগঠনিক সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা। তিনি বলেন, 'চুক্তি স্বাক্ষরকারী আওয়ামী লীগ এক যুগের অধিক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করেনি। আরও উদ্বেগের বিষয়, চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারও চুক্তি বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

তিনি বলেন, 'চুক্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ এবং তিন পার্বত্য জেলা পরিষদকে নিয়ে বিশেষ শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের বিধান থাকলেও তা কার্যকর হয়নি।'

তিনি আরও বলেন, "কোনো সরকারই পরিষদসমূহের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে, তাদের দলীয় সদস্যদের নিয়োগ দিয়ে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে পরিষদগুলো পরিচালনা করেছে।"

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সুভাষ কান্তি চাকমা, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, জেএসএস রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুপিটার চাকমা, খাগড়াছড়ি সদর থানা কমিটির সভাপতি সুনীল চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা কমিটির সভাপতি শোভা কুমার চাকমা, যুব সমিতির সভাপতি জ্ঞান প্রিয় চাকমা, পিসিপির সভাপতি সুজন চাকমা ঝিমিট, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের আহ্বায়ক মায়া চৌধুরী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আট দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে: ১। চুক্তি মোতাবেক ভূমি কমিশনের বিধিমালা প্রণয়নপূর্বক দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা। ২। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে '১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি' কার্যকর রাখা। ৩। চুক্তি মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে সাধারণ প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ, ভূমি ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, উপজাতীয় আইন ও সামাজিক বিচার কার্যাবলী ও ক্ষমতা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে হস্তান্তর করা। ৪। চুক্তি মোতাবেক স্থায়ী বাসিন্দাদের নিয়ে ভোটার তালিকা প্রণয়নপূর্বক তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। ৫। চুক্তি মোতাবেক প্রত্যাগত জনসংহতি সমিতির সদস্যদের যথাযথ পুনর্বাসন করা। ৬। ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ উপজাতীয় উদ্বাস্তুদের যথাযথ পুনর্বাসন করা। ৭। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সমতলের আদিবাসীদের জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা। ৮। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে রোডম্যাপ বা কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা।

সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে এ আট দফা দাবি জানানো হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow