গলা কাটার পর বিএনপি কর্মীকে মুখ পুড়িয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সোহেল রানা (৪০) নামের এক বিএনপি কর্মীকে গলা কাটার পর মুখমণ্ডল পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাকে বিবস্ত্র করে তার শরীরের স্পর্শকাতর অংশ কেটে নিয়ে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বিলের মাঠের ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়। বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কৃষকরা ধান কাটতে গিয়ে বীভৎস মরদেহটি দেখতে পায়। ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শাহাজান আলী নিহত সোহেল রানাকে দুর্দিনের বিএনপি কর্মী বলে কালবেলাকে জানান। নিহত সোহেল রানা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের হরিপুরের বাসিন্দা মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি ভেড়ামারা পৌরসভার নওদাপাড়ার সজনি হলের পেছনে বাসা ভাড়া নিয়ে একাকী থাকতেন। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল রব তালুকদার সোহেল কালবেলাকে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকরা জানান, বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো তারা মাঠে ধান কাটতে যান। এ সময় রামচন্দ্রপুর বিলের মাঠে কৃষক মনির জমিতে তারা একটি মুখ পোড়ানো, গলাকাটা ও বিবস্ত্র পুরুষ মানুষের মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায়
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় সোহেল রানা (৪০) নামের এক বিএনপি কর্মীকে গলা কাটার পর মুখমণ্ডল পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তাকে বিবস্ত্র করে তার শরীরের স্পর্শকাতর অংশ কেটে নিয়ে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর বিলের মাঠের ধানক্ষেতে ফেলে রাখা হয়।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কৃষকরা ধান কাটতে গিয়ে বীভৎস মরদেহটি দেখতে পায়।
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. শাহাজান আলী নিহত সোহেল রানাকে দুর্দিনের বিএনপি কর্মী বলে কালবেলাকে জানান।
নিহত সোহেল রানা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের হরিপুরের বাসিন্দা মো. আবুল কালামের ছেলে। তিনি ভেড়ামারা পৌরসভার নওদাপাড়ার সজনি হলের পেছনে বাসা ভাড়া নিয়ে একাকী থাকতেন।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল রব তালুকদার সোহেল কালবেলাকে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকরা জানান, বুধবার সকালে প্রতিদিনের মতো তারা মাঠে ধান কাটতে যান। এ সময় রামচন্দ্রপুর বিলের মাঠে কৃষক মনির জমিতে তারা একটি মুখ পোড়ানো, গলাকাটা ও বিবস্ত্র পুরুষ মানুষের মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়।
তারা জানান, ধারণা করা হচ্ছে সোহেলকে পাশের রাস্তায় মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতেই হয়ত গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। পরে লাশটিকে পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেতে দুর্বৃত্তরা ফেলে রেখে যায়।
তাদের ধারণা, এ সময় তাকে বিবস্ত্র করে ওই পোশাক দিয়েই তার মুখ পুড়িয়ে দিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে আতঙ্কিত কৃষকরা পুলিশে খবর দেন।
স্থানীয় কৃষক রাজা আলী জানান, বুধবার সকালে আমি আমার জমিতে সার ও বীজ দিতে এসেছিলাম। আমার ঠিক পাশের জমিতেই তাকিয়ে দেখি পুতুলের মতো কী যেন পড়ে আছে। কাছে গিয়ে দেখি মধ্যবয়সী একজনের মরদেহ। পরে কৃষক রুহুল শেখের মোবাইল থেকে পুলিশকে বিষয়টি জানাই।
ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব মো. শাহজাহান আলী কালবেলাকে বলেন, সোহেল দুর্দিনে বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিল। সে প্রায় প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা যত শক্তিশালীই হোক, তাদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনকে আহ্বান জানাচ্ছি।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুর রব তালুকদার বলেন, বুধবার সকালে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর মাঠে সোহেল রানা নামের এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার রহস্য উন্মোচনে কাজ করে যাচ্ছে।
What's Your Reaction?