গাজীপুরে ১৩৯ শ্রমিক ছাঁটাই করে সাতদিন পর খুলেছে কারখানা

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে টানা সাতদিন বন্ধ থাকার পর ১৩৯ শ্রমিক ছাঁটাই করে গাজীপুরের কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার পিএন কম্পোজিট কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ( ১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কাজে ফিরেছে ওই কারখানার শ্রমিকরা। পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করলে ৯ ডিসেম্বর থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অবৈধভাবে কারখানাতে সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করার অপরাধে ১১ ডিসেম্বর ১৩৯ জন শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা খোলার বিষয়ে রোববার একটি নোটিশ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। নোটিশে লেখা রয়েছে, সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৭ ডিসেম্বর এবং ৮ ডিসেম্বর কারখানার শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করে, অবৈধ ভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে, চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষ ৯ ডিসেম্বর হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। পরে

গাজীপুরে ১৩৯ শ্রমিক ছাঁটাই করে সাতদিন পর খুলেছে কারখানা

শ্রমিক অসন্তোষের কারণে টানা সাতদিন বন্ধ থাকার পর ১৩৯ শ্রমিক ছাঁটাই করে গাজীপুরের কোনাবাড়ী আমবাগ এলাকার পিএন কম্পোজিট কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। সোমবার ( ১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কাজে ফিরেছে ওই কারখানার শ্রমিকরা।

পুলিশ ও কারখানা সূত্রে জানা গেছে, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি দাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ করলে ৯ ডিসেম্বর থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অবৈধভাবে কারখানাতে সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করার অপরাধে ১১ ডিসেম্বর ১৩৯ জন শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত করে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

কারখানা খোলার বিষয়ে রোববার একটি নোটিশ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। নোটিশে লেখা রয়েছে, সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৭ ডিসেম্বর এবং ৮ ডিসেম্বর কারখানার শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি উপস্থাপন করে, অবৈধ ভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে, চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করে অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়। এমতাবস্থায় কর্তৃপক্ষ ৯ ডিসেম্বর হতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।

পরে কারখানা খোলার বিষয়ে অধিকাংশ শ্রমিকের অনুরোধে ও কারখানা সুষ্ঠু উৎপাদন কার্যক্রম চালুর জন্য কর্তৃপক্ষ পূর্ব ঘোষিত ১৩৯ জন সাময়িক বরখাস্তকৃত শ্রমিক ছাড়া সোমবার হতে কারখানা কার্যক্রম যথারীতি চলবে।

এজিএম আখলাকুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সকাল থেকে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। শ্রমিকদের বেতন ভাতা সময়মতো পরিশোধ করা হচ্ছে। তাদের কোনো দাবি দাওয়া নাই। তাদের দাবি একটাই কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ মাফ চাইতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ১৩৯ জন শ্রমিককে আর কাজে নেওয়া হয়নি। বরখাস্তকৃত শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দীন মাহমুদ বলেন, শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কারখানার সামনে গাজীপুর শিল্প পুলিশের পাশাপাশি মেট্রোপলিটন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মো. আমিনুল ইসলাম/আরএইচ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow