গিনি-বিসাউয়ের ক্ষমতা দখল সেনাবাহিনীর, প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার
গিনি-বিসাউয়ের ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। দেশটির একদল সেনা কর্মকর্তা বুধবার দেশের ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নিজেদের হাতে নিয়েছেন বলে ঘোষণা করেছেন। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রার্থীই নিজেদের বিজয়ী দাবি করার মধ্যে ক্ষমতা দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) আলজাজিরার েএক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের ‘হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রিস্টোরেশন অব অর্ডার’ পরিচয়ে কর্মকর্তারা জাতীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে জানান, তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত, সব স্থল, আকাশ ও নৌ সীমান্ত বন্ধ এবং রাতের কারফিউ জারি করেছেন। আলজাজিরা জানিয়েছে, ঘোষণার আগে রাজধানী বিসাউয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে টানা গুলির শব্দ শোনা যায়। রোববারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট উমারু সিসোকো এমবালো ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াসের মধ্যকার ভোটের ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। তবে পরিস্থিতি পাল্টে যায় দ্রুত। এমবালো ফরাসি গণমাধ্যম ফ্যান্স২৪–কে ফোনে জানান, আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আমি
গিনি-বিসাউয়ের ক্ষমতা দখল করেছে সেনাবাহিনী। দেশটির একদল সেনা কর্মকর্তা বুধবার দেশের ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নিজেদের হাতে নিয়েছেন বলে ঘোষণা করেছেন। দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই প্রার্থীই নিজেদের বিজয়ী দাবি করার মধ্যে ক্ষমতা দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) আলজাজিরার েএক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের ‘হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রিস্টোরেশন অব অর্ডার’ পরিচয়ে কর্মকর্তারা জাতীয় টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে জানান, তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত, সব স্থল, আকাশ ও নৌ সীমান্ত বন্ধ এবং রাতের কারফিউ জারি করেছেন।
আলজাজিরা জানিয়েছে, ঘোষণার আগে রাজধানী বিসাউয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে টানা গুলির শব্দ শোনা যায়। রোববারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট উমারু সিসোকো এমবালো ও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াসের মধ্যকার ভোটের ফল বৃহস্পতিবার প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল।
তবে পরিস্থিতি পাল্টে যায় দ্রুত। এমবালো ফরাসি গণমাধ্যম ফ্যান্স২৪–কে ফোনে জানান, আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। আমি বর্তমানে জেনারেল স্টাফ সদর দপ্তরে আছি।
আল জাজিরা জানিয়েছে, এমবালো আটক রয়েছেন। বিরোধী দল পিএআইজিসি’র প্রধান ডমিঙ্গোস সিমোয়েস পেরেইরাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টাও চলছে। দেশটিতে সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেনিস এন কানহা। তিনি প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান ছিলেন। অর্থাৎ, প্রেসিডেন্টকে রক্ষার কথা ছিল যার, তিনিই তাকে আটক করেছেন।
১৯৭৪ সালে পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই গিনি-বিসাউয়ে বারবার অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থানচেষ্টা দেখা গেছে। এই সপ্তাহের নির্বাচন আগ থেকেই বিতর্কিত ছিল। সিভিল সোসাইটি ও পর্যবেক্ষকরা বলেন, প্রধান বিরোধী দল পিএআইজিসিকে নিষিদ্ধ করা নির্বাচনকে সন্দেহজনক করে তুলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমবালো এবং দিয়াস—উভয়েই প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের বিজয় ঘোষণা করেছিলেন। এমবালোর প্রচার টিম ঘোষণা করে, দ্বিতীয় দফার প্রয়োজন নেই। অন্যদিকে দিয়াস সামাজিকমাধ্যমে বলেন, নির্বাচন প্রথম রাউন্ডেই জিতেছি। গিনি-বিসাউয়ে২০১৯ সালের আগের নির্বাচনেও চার মাস ধরে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল।
ইকোওয়াস ও আফ্রিকান ইউনিয়নের পর্যবেক্ষকরা সামরিক হস্তক্ষেপে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, এটি দুর্ভাগ্যজনক যে দুই প্রার্থীই আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন জনগণের রায় মেনে নেবেন—এমন সময়েই সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। তারা আটক সব নেতাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস পরিস্থিতি ‘গভীর উদ্বেগের’ সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং শান্ত থাকার পাশাপাশি আইনের শাসন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
What's Your Reaction?