গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান জানালেন জামায়াত আমির

কোনো ধরনের উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, দেশের বর্তমান সংকটময় সময়ে সংযম, দায়িত্বশীলতা ও জাতীয় ঐক্যই সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করে। এ ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করলেই শহিদদের আত্মত্যাগের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা সম্ভব। এজন্য সকল দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা ও নাগরিককে ধৈর্য, সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানানো হয়। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাতের পর ছাত্র-জনতার মধ্যে যে ক্ষোভ ও আবেগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ন্যায্য ও বোধগম্য। তবে এই ক্ষোভকে পুঁজি করে কোনো পক্ষ যদি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এমন কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হতে পারে। বিবৃতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ

গুরুত্বপূর্ণ আহ্বান জানালেন জামায়াত আমির

কোনো ধরনের উসকানিতে পা না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, দেশের বর্তমান সংকটময় সময়ে সংযম, দায়িত্বশীলতা ও জাতীয় ঐক্যই সামনে এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাস করে। এ ধরনের পরিবেশ নিশ্চিত করলেই শহিদদের আত্মত্যাগের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা সম্ভব। এজন্য সকল দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতা ও নাগরিককে ধৈর্য, সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানানো হয়।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শহীদ ওসমান হাদির শাহাদাতের পর ছাত্র-জনতার মধ্যে যে ক্ষোভ ও আবেগ সৃষ্টি হয়েছে, তা ন্যায্য ও বোধগম্য। তবে এই ক্ষোভকে পুঁজি করে কোনো পক্ষ যদি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে, তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এমন কর্মকাণ্ড পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা হতে পারে।

বিবৃতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং জনগণের কণ্ঠস্বর প্রকাশের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। গণমাধ্যমের ওপর হামলা মানে গণতান্ত্রিক চর্চা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনের ওপর আঘাত। যেকোনো ন্যায়সংগত আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন, নতুবা মূল লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হতে পারে।

এছাড়া শহীদ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান জামায়াত আমির।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow