গ্রামীণ জীবিকা রূপান্তরে মহারশি ফ্ল্যাগশিপ উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন

যৌথভাবে মহারশি ফ্ল্যাগশিপ উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। শনিবার (২৯ নভেম্বর) উদ্বোধন করা এ প্রকল্পটি ‘ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প, ফেজ ২’- এর আওতাধীন একটি উদ্যোগ। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে আড়ম্বরপূর্ণ এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়। সেচব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষিভিত্তিক ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই গ্রামীণ উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। মহারশি ফ্ল্যাগশিপ উপ-প্রকল্পটি বর্তমানে প্রবহমান মহারশি নদীর পানি ব্যবহার করে মোট ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিচ্ছে। এর মধ্যে ১ হাজার হেক্টর জমি সরাসরি এ উপ-প্রকল্প থেকে সেচ সুবিধা পাচ্ছে। মোট ২৪০৫ পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ১৪২০ পরিবার এই সুবিধার আওতায় এসেছে। প্রকল্পটির ইকোনমিক ইন্টারনাল রেট অব রিটার্ন বা অর্থনৈতিক অভ্যন্তরীণ মুনাফার হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও লাভজনকতার ইঙ্গিত দেয়। এই উপ-প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো বছরজুড়ে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা, কৃষি উৎপা

গ্রামীণ জীবিকা রূপান্তরে মহারশি ফ্ল্যাগশিপ উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন

যৌথভাবে মহারশি ফ্ল্যাগশিপ উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। শনিবার (২৯ নভেম্বর) উদ্বোধন করা এ প্রকল্পটি ‘ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প, ফেজ ২’- এর আওতাধীন একটি উদ্যোগ। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতীতে আড়ম্বরপূর্ণ এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়।

সেচব্যবস্থার উন্নয়ন এবং কৃষিভিত্তিক ব্যবসা সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই গ্রামীণ উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এ উদ্যোগটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মহারশি ফ্ল্যাগশিপ উপ-প্রকল্পটি বর্তমানে প্রবহমান মহারশি নদীর পানি ব্যবহার করে মোট ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দিচ্ছে। এর মধ্যে ১ হাজার হেক্টর জমি সরাসরি এ উপ-প্রকল্প থেকে সেচ সুবিধা পাচ্ছে। মোট ২৪০৫ পরিবারের মধ্যে বর্তমানে ১৪২০ পরিবার এই সুবিধার আওতায় এসেছে। প্রকল্পটির ইকোনমিক ইন্টারনাল রেট অব রিটার্ন বা অর্থনৈতিক অভ্যন্তরীণ মুনাফার হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও লাভজনকতার ইঙ্গিত দেয়।

এই উপ-প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো বছরজুড়ে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা, কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং দক্ষ পানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার মাধ্যমে কৃষকের আয় বাড়ানো। পাশাপাশি, একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষিভিত্তিক ব্যবসা কেন্দ্র (এগ্রি-বিজনেস সেন্টার) স্থাপনের মাধ্যমে কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ আরও সহজ করাও এর উদ্দেশ্য। উন্নত গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি (পাবসস)-এর সক্ষমতা বাড়ার ফলে দীর্ঘমেয়াদে প্রকল্প অবকাঠামোটির টেকসই পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে বলেন, গত ৫২ বছর ধরে জাইকা বাংলাদেশের পাশে আছে। এ উপ-প্রকল্পটি শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, এটি মানুষের জীবনধারা পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি। প্রথম সফল ফ্ল্যাগশিপ উপ-প্রকল্প হওয়ায় মহারশি সমন্বিত গ্রামীণ উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন এক মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এটি প্রমাণ করেছে যে, সরকার, জাইকা ও স্থানীয় জনগণ একসঙ্গে কাজ করলে উন্নত ফসল উৎপাদন থেকে শক্তিশালী কমিউনিটি তৈরি করাসহ আরও অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহিদে ও সিনিয়র প্রতিনিধি শোজি ইজুমি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী জাভেদ করিম; ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প, ফেজ-২ এর প্রকল্প পরিচালক সানিউল হক, নিপ্পন কোই পরামর্শক দলের টিম লিডার ইয়োজিরো সেকিগুচি, ময়মনসিংহ বিভাগ ও শেরপুর জেলার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীরা, এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক এবং মহারশি উপ-প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সদস্য ও উপকারভোগীরা।

এএমএ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow