চাকরি যাওয়ার শঙ্কার মধ্যেই বোর্ডকে একহাত নিলেন গম্ভীর

নিউজিল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ। এক বছরের মধ্যে দুইবার বড় লজ্জায় পড়লো ভারত, কোচ গৌতম গম্ভীরের অধীনে। স্বাভাবিকভাবেই গম্ভীরের চাকরি নিয়ে টানাটানি। আলোচনা হচ্ছে, কবে তাকে সরাবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)? এর মধ্যে বোর্ডকেই একহাত নিলেন গম্ভীর। তার মতে, টেস্ট ক্রিকেটকে সঠিকভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। ওয়ানডে-টি টোয়েন্টিতে ভালো করলে টেস্টের ব্যর্থতা ভুলে যাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ব্যস্ত সূচিকেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পরেই ভারত চলে যায় অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলে ফেরার চার দিনের মধ্যে নামতে হয়েছে কলকাতা টেস্টে। ফলে প্রস্তুতির সময়ই পাওয়া যায়নি। গম্ভীর বলেছেন, ‘সূচি তো একটা সমস্যা বটেই। ভাবুন, কলকাতায় টেস্ট খেলার তিন দিন আগে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় ছিলাম। টেস্ট দলের সঙ্গে দু’দিন কাটানোর সময় পেয়েছি। তবে এটা কোনও অজুহাত নয়। মাঝেসাঝে এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুটো সিরিজের মাঝে সময় থাকা উচিত, যাতে নির্দিষ্ট দক্ষতায় শান দেওয়ার সময় পাওয়া যায়।’ সামগ্রিকভাবে টেস্ট ক্রি

চাকরি যাওয়ার শঙ্কার মধ্যেই বোর্ডকে একহাত নিলেন গম্ভীর

নিউজিল্যান্ডের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছেও ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ। এক বছরের মধ্যে দুইবার বড় লজ্জায় পড়লো ভারত, কোচ গৌতম গম্ভীরের অধীনে। স্বাভাবিকভাবেই গম্ভীরের চাকরি নিয়ে টানাটানি। আলোচনা হচ্ছে, কবে তাকে সরাবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)?

এর মধ্যে বোর্ডকেই একহাত নিলেন গম্ভীর। তার মতে, টেস্ট ক্রিকেটকে সঠিকভাবে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে না। ওয়ানডে-টি টোয়েন্টিতে ভালো করলে টেস্টের ব্যর্থতা ভুলে যাওয়ার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন ব্যস্ত সূচিকেও।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পরেই ভারত চলে যায় অস্ট্রেলিয়ায়। সেখান থেকে সীমিত ওভারের সিরিজ খেলে ফেরার চার দিনের মধ্যে নামতে হয়েছে কলকাতা টেস্টে। ফলে প্রস্তুতির সময়ই পাওয়া যায়নি।

গম্ভীর বলেছেন, ‘সূচি তো একটা সমস্যা বটেই। ভাবুন, কলকাতায় টেস্ট খেলার তিন দিন আগে আমরা অস্ট্রেলিয়ায় ছিলাম। টেস্ট দলের সঙ্গে দু’দিন কাটানোর সময় পেয়েছি। তবে এটা কোনও অজুহাত নয়। মাঝেসাঝে এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুটো সিরিজের মাঝে সময় থাকা উচিত, যাতে নির্দিষ্ট দক্ষতায় শান দেওয়ার সময় পাওয়া যায়।’

সামগ্রিকভাবে টেস্ট ক্রিকেটের দিকে মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে গম্ভীর বলেছেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটকে আরও প্রাধান্য দিতে হবে, যদি আমরা সত্যিই এই ফরম্যাটটা নিয়ে ভেবে থাকি। প্রত্যেককেই অংশ নিতে হবে। যদি আমরা চাই ভারতে টেস্ট ক্রিকেট আরও জনপ্রিয় হোক, তা হলে সকলের প্রচেষ্টা দরকার। শুধু ক্রিকেটার বা সাপোর্ট স্টাফদের দোষ দিলে চলবে না। আমরা কখনওই সব জিনিস ধামাচাপা দিতে চাই না। সাদা বলের সিরিজ শুরু হোক। সেখানে সাফল্য পেলে আপনি রাতারাতি ভুলে যাবেন লাল বলের ক্রিকেটে কী হয়েছিল। এটা কখনওই হওয়া উচিত নয়।’

ভারতীয় ক্রিকেটে একের পর এক ধসের নেপথ্যে মানসিক বা টেকনিক্যাল, কোন বিষয়টি দায়ী? গম্ভীরের মতে, দলের অনেক ক্রিকেটারই পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার জন্য এখনও তৈরি নন।

ভারতের কোচ বলেছেন, ‘সবার আগে যত্ন দরকার। সাজঘর এবং দলের জন্য আপনার যত্ন কতটা, সেটাই আসল। দায়বদ্ধতা এবং ম্যাচের পরিস্থিতি কখনও হাতে ধরে শেখানো যায় না। আপনি দক্ষতা নিয়ে কথা বলতে পারেন, কাজ করতে পারেন, মানসিক বিষয়ের খেয়াল রাখতে পারেন। কিন্তু মাঠে নামলে নিজের আগে দলকে রাখতে হবে। যদি কেউ ভাবে আমি এভাবেই খেলি, আমার বিকল্প পরিকল্পনা নেই, তা হলে এ রকম হবেই। দায়বদ্ধতা দরকার। তার চেয়েও বেশি দরকার যত্ন। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আপনি কতটা যত্নবান, সেটা মাঠে নেমে দেখাতে হবে।’

এমএমআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow