চার বলেই তিন উইকেট মোস্তাফিজের, দুবাই ক্যাপিটালসের নাটকীয় জয়

কাটারেই ভরসা, আর সেই কাটারেই ম্যাচের রং বদলে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) এক ওভারে মাত্র চার বলের মধ্যে তিন উইকেট তুলে নিয়ে গালফ জায়ান্টসের ব্যাটিং ধস নামান বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রতিপক্ষ, আর সহজ জয়ে পৌঁছে যায় দুবাই ক্যাপিটালস। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দুবাই ক্যাপিটালস। ইনিংসের শুরুতে নতুন বলে কিছুটা খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজ। প্রথম ওভারে দেন ১৩ রান। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে, ততই ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন ‘কাটার মাস্টার’। ১৪তম ওভারে ফের বল হাতে নিয়ে আসেন মোস্তাফিজ, তখন গালফ জায়ান্টসের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১০। এই ওভারেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। প্রথমে জেমস ভিন্সকে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান তিনি। পরের কয়েক বলের মধ্যেই অফ-কাটারে বোল্ড হয়ে যান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এরপর নিখুঁত এক ডেলিভারিতে ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে শন ডিকসনকেও সাজঘরের পথ দেখান মোস্তাফিজ। মাত্র চার বলেই তিন উইকেট—এই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি গালফ জায়ান্টস। ১১০/৩ থেকে মুহূর্তেই স্কোর দাঁড়া

চার বলেই তিন উইকেট মোস্তাফিজের, দুবাই ক্যাপিটালসের নাটকীয় জয়

কাটারেই ভরসা, আর সেই কাটারেই ম্যাচের রং বদলে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি) এক ওভারে মাত্র চার বলের মধ্যে তিন উইকেট তুলে নিয়ে গালফ জায়ান্টসের ব্যাটিং ধস নামান বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। তার বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৫৬ রানে গুটিয়ে যায় প্রতিপক্ষ, আর সহজ জয়ে পৌঁছে যায় দুবাই ক্যাপিটালস।

আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দুবাই ক্যাপিটালস। ইনিংসের শুরুতে নতুন বলে কিছুটা খরুচে ছিলেন মোস্তাফিজ। প্রথম ওভারে দেন ১৩ রান। তবে ম্যাচ যত এগিয়েছে, ততই ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন ‘কাটার মাস্টার’।

১৪তম ওভারে ফের বল হাতে নিয়ে আসেন মোস্তাফিজ, তখন গালফ জায়ান্টসের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১০। এই ওভারেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। প্রথমে জেমস ভিন্সকে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরান তিনি। পরের কয়েক বলের মধ্যেই অফ-কাটারে বোল্ড হয়ে যান দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এরপর নিখুঁত এক ডেলিভারিতে ব্যাটের কানায় বল লাগিয়ে শন ডিকসনকেও সাজঘরের পথ দেখান মোস্তাফিজ।

মাত্র চার বলেই তিন উইকেট—এই ধাক্কা আর সামলাতে পারেনি গালফ জায়ান্টস। ১১০/৩ থেকে মুহূর্তেই স্কোর দাঁড়ায় ১১৬/৬। শেষ পর্যন্ত পুরো ইনিংসেই আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি তারা।

মোস্তাফিজ ৩.৫ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। পরিসংখ্যানের বাইরেও তাঁর প্রভাব ছিল স্পষ্ট। এই পারফরম্যান্সের সুবাদেই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতে। সাত ম্যাচে তাঁর উইকেটসংখ্যা এখন ১৪—চলতি আসরে অন্যতম সফল বোলারদের একজন তিনি।

১৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দুবাই ক্যাপিটালস কোনো বড় বিপদে পড়েনি। ৬ উইকেট হাতে রেখে এবং ৪ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে দলটি।

এক ম্যাচেই আবারও প্রমাণ হলো—মোস্তাফিজের কাটার ঠিকঠাক পড়লে, যে কোনো ব্যাটিং লাইনআপই মুহূর্তে এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow