চার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত বাবার হাহাকার

চারদিকে নীরবতা। সেই নীরবতার মাঝেই ভারী হয়ে ওঠে এক বাবার দীর্ঘশ্বাস। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি। শরীর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে আসছে, কিন্তু তার চোখে ঘুম নেই। মৃত্যুর ভয় নয় তার সবচেয়ে বড় আতঙ্ক চার মেয়ের ভবিষ্যৎ। মাজেদুল বছরের পর বছর ধরে ফার্নিচার তৈরির কাজ করে সংসার চালাতেন। বছরখানেক আগে হঠাৎ শরীরে জটিল সমস্যা দেখা দিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে ক্যানসার। চিকিৎসকরা দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে মাঝপথেই থমকে গেছে তার চিকিৎসা।  ইতোমধ্যে তার বসতবাড়ির কিছু অংশ বিক্রি করে দিয়েছেন। একদিকে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অচল অবস্থায় পড়ে থাকায় চার মেয়ের ভরণপোষণ ও সংসারের হাল ধরেছেন মাজেদুলের বাবা রুহুল আমিন। তবে মাজেদুলের বাবাও বয়সের ভারে ক্লান্ত, যে বয়সে ছেলের উপার্জনে চলার কথা ঠিক তার উলটো চিত্র এখন। অটোচালিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসা ও তার সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। মাজেদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের শরিফেরহাট বেপারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দিনমজুর ছিলেন তিনি। কাজ করতেন ফার্নিচারের দোকানে। পরিবারে চার মেয়ে ও তার স্ত্রী এবং বাবা-মা আ

চার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত বাবার হাহাকার
চারদিকে নীরবতা। সেই নীরবতার মাঝেই ভারী হয়ে ওঠে এক বাবার দীর্ঘশ্বাস। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন তিনি। শরীর ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে আসছে, কিন্তু তার চোখে ঘুম নেই। মৃত্যুর ভয় নয় তার সবচেয়ে বড় আতঙ্ক চার মেয়ের ভবিষ্যৎ। মাজেদুল বছরের পর বছর ধরে ফার্নিচার তৈরির কাজ করে সংসার চালাতেন। বছরখানেক আগে হঠাৎ শরীরে জটিল সমস্যা দেখা দিলে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ধরা পড়ে ক্যানসার। চিকিৎসকরা দ্রুত চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে মাঝপথেই থমকে গেছে তার চিকিৎসা।  ইতোমধ্যে তার বসতবাড়ির কিছু অংশ বিক্রি করে দিয়েছেন। একদিকে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অচল অবস্থায় পড়ে থাকায় চার মেয়ের ভরণপোষণ ও সংসারের হাল ধরেছেন মাজেদুলের বাবা রুহুল আমিন। তবে মাজেদুলের বাবাও বয়সের ভারে ক্লান্ত, যে বয়সে ছেলের উপার্জনে চলার কথা ঠিক তার উলটো চিত্র এখন। অটোচালিয়ে ক্যানসার আক্রান্ত ছেলের চিকিৎসা ও তার সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। মাজেদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের শরিফেরহাট বেপারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় দিনমজুর ছিলেন তিনি। কাজ করতেন ফার্নিচারের দোকানে। পরিবারে চার মেয়ে ও তার স্ত্রী এবং বাবা-মা আছেন। জানা গেছে, মাজেদুলের শরীরের এক বছর ধরে বাসা বেধেছে ক্যানসার। দুই মাস চিকিৎসা করানোর পর অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ প্রায় রয়েছে। সপ্তাহ খানেক আগে ঢাকা থেকে ফেরত আনতে হয়েছে তাকে।  পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন, সমাজের বিত্তবান শ্রেণির মানুষরা এগিয়ে আসলে তার চিকিৎসা করানো সম্ভব এবং চার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হত না। মাজেদুলের চিকিৎসা করা আরও প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা লাগবে বলে জানা গেছে। মাজেদুলের স্ত্রী সাথী বেগম জানান, অনেক দিন থেকে অসুস্থ ছিল। কয়েকমাস আগে ঢাকা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার বলেন— ক্যানসার হয়েছে। এখন টাকা না থাকায় বাড়িতে ফেরত আনা লাগছে। চিকিৎসার জন্য সবার দ্বারে দ্বারে যাওয়া ছাড়া উপায় নাই। এলাকাবাসী আবু জাফর বলেন, মাজেদুলের চিকিৎসার পেছনের অনেক টাকা পয়সা শেষ করেছে। বাড়িভিটাও বিক্রি করে দিয়েছে। এখন গ্রামের মানুষ যতটুকু পারে সহযোগিতা করছে। তার মেয়েদের পড়ালেখা নিয়ে দুশ্চিন্তা পরিবার বলে যোগ করেন তিনি। মাজেদুলের বড় মেয়ে মাফিয়া আক্তার বলেন, আমার বাবা অনেক দিন থেকে অসুস্থ। আমি মাদ্রাসায় পড়ি, পড়ালেখার খরচ দিতে পারছে না। অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে আমাদের। এখন যদি আপনারা সাহায্য করেন তাহলে বাবাকে সুস্থ করা যাবে তাহলে আমাদের আর সমস্যা হবে না। মাজেদুলের বাবা রুহুল আমিন কালবেলাকে বলেন, দীর্ঘ এক বছর থেকে মাজেদুলের চিকিৎসা করছি। তার দুই শতক জায়গা ছিল ও ঘর ছিল সেটাও বিক্রি করে দিয়েছি। আমি রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। এখন কুলাইতে পারছি না। ছেলের চিকিৎসায় আরও ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা লাগবে। আপনাদের কাছে সাহায্য চাই, যাতে আমার ছেলের চিকিৎসা করাতে পারি। বিকাশ নম্বর : ০১৯২৭ ৩৩৪ ৬০৫। চিলমারী উপজেলা সমাজসেবা অফিসার (অ. দা.) মো. নাজমুল হাসান কালবেলাকে জানান, ক্যান্সারসহ কয়েকটি রোগের চিকিৎসার জন্য অনুদান দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন করে জমা দিলে চিকিৎসার জন্য এককালীন ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হবে। দ্রুত টাকা পাওয়া নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সুপারিশ করব।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow