চীনের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে বাংলাদেশের বিদায়

টানা চার ম্যাচ জিতে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ ফুটবল বাছাইয়ে বাংলাদেশ রোববার বাঁচামরার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল চীনের। শক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকা স্বাগতিকদের বিপক্ষে একমাত্র জয়ই ছিল চূড়ান্ত পর্বে ওঠার পথ। তবে কাজটি অনেক কঠিনই ছিল। বাস্তবে হয়েছেও তাই। চীনের কাছে ৪-০ গোলে হেরে বাছাইয়ের অভিযান শেষ করলো বাংলাদেশের কিশোররা। চীনের বিপক্ষে পরাজয়টা অনুমিতই ছিল। তবে আগের চারটি ম্যাচ টানা জিতে প্রত্যাশা বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এসে থামলো বাংলাদেশ। চীনের তংলিয়াং লং স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বেশ কিছু ঝলক দেখা গেলেও একাধিক ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলকে। অষ্টম মিনিটে গোলকিপার আলিফ রহমানের ভুলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। নিজেদের অর্ধ থেকে বল উড়িয়ে মারেন চীনের ডিফেন্ডার জিন ইউচেন। কুয়াং ঝাওলি পেছন থেকে দৌড়ে এসে ব্যাক পাস দিতে চাইলে ইকরামুলের পায়ে লেগে বলের গতি পরিবর্তন হয়; বলের লাইনে থেকে অবশ্য ধরার অপেক্ষায় ছিলেন আলিফ। কিন্তু নিচু বল তিনি ধরার আগেই পেছন থেকে এসে বল জালে পাঠিয়ে দেন চীনের ফরোয়ার্ড শুয়াই ওয়েহাও। ১৮ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে কয়েকজনেক কাটিয়ে একাই বল নিয়ে বক্সে

চীনের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে বাংলাদেশের বিদায়

টানা চার ম্যাচ জিতে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপ ফুটবল বাছাইয়ে বাংলাদেশ রোববার বাঁচামরার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল চীনের। শক্তিতে অনেক এগিয়ে থাকা স্বাগতিকদের বিপক্ষে একমাত্র জয়ই ছিল চূড়ান্ত পর্বে ওঠার পথ। তবে কাজটি অনেক কঠিনই ছিল। বাস্তবে হয়েছেও তাই। চীনের কাছে ৪-০ গোলে হেরে বাছাইয়ের অভিযান শেষ করলো বাংলাদেশের কিশোররা।

চীনের বিপক্ষে পরাজয়টা অনুমিতই ছিল। তবে আগের চারটি ম্যাচ টানা জিতে প্রত্যাশা বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এসে থামলো বাংলাদেশ। চীনের তংলিয়াং লং স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বেশ কিছু ঝলক দেখা গেলেও একাধিক ভুলের মাশুল দিতে হয়েছে গোলাম রব্বানী ছোটনের দলকে।

অষ্টম মিনিটে গোলকিপার আলিফ রহমানের ভুলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। নিজেদের অর্ধ থেকে বল উড়িয়ে মারেন চীনের ডিফেন্ডার জিন ইউচেন। কুয়াং ঝাওলি পেছন থেকে দৌড়ে এসে ব্যাক পাস দিতে চাইলে ইকরামুলের পায়ে লেগে বলের গতি পরিবর্তন হয়; বলের লাইনে থেকে অবশ্য ধরার অপেক্ষায় ছিলেন আলিফ। কিন্তু নিচু বল তিনি ধরার আগেই পেছন থেকে এসে বল জালে পাঠিয়ে দেন চীনের ফরোয়ার্ড শুয়াই ওয়েহাও।

১৮ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে কয়েকজনেক কাটিয়ে একাই বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ইহসান হাবিব রিদুয়ান। এই ডিফেন্ডারের বা পায়ের জোড়ালো শট বাম দিকে ঝাপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন চীনের গোলকিপার কিন জিনিউ।

২৫ মিনিটে অল্পের জন্য বিপদ ঘটেনি। বাংলাদেশের রক্ষণ চিঁড়ে বেরিয়ে পরা বল পায়ে নিয়ে কয়েকজনকে কাটান শুয়াই ওয়েহাও। বক্সে জটলার মধ্য থেকে শেষে এই ফরোয়ার্ডের নেওয়া নিচু শটে বল বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে।

৩৮ মিনিটে আরও একবার বাংলাদেশের ভুল, তাতে লিড দ্বিগুণ করে চীন। নিজেদের বক্সের সামনে বল পায়ে কাকে দেবেন করতে করতে কামাল মৃধা ব্যাক পাস দিয়ে বসেন দূরে থাকা গোলকিপার আলিফের কাছে। সেই বল আলিফ ক্লিয়ার করার আগেই ছো মেরে জালে পাঠিয়ে দেন চীনের শুয়াই ওয়েহাও। তার জোড়া গোলেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় চীন।

বিরতির পর দ্রুতই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় চীন। ডান দিকের কর্নারের কাছ থেকে আসা লং বলে মাথা ছুঁয়ে ম্যাচে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ফরোয়ার্ড শুয়াই ওয়েহাও। গোলমুখের সামনে বাংলাদেশের তিন ডিফেন্ডার পারেননি তাঁকে রুখতে। নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে ঝাও সংইউয়ান কাঁপান জাল। শেষ পর্যন্ত ৪-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

পাঁচ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে বিদায় নিলো বাংলাদেশ। সব ম্যাচ জিতে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করলো চীন।

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow