জনগণের ভোটের আঘাতে সব ষড়যন্ত্র ধসে পড়বে : গয়েশ্বর

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণের ভোটের আঘাতেই সব ষড়যন্ত্র ধসে পড়বে।  বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া–মহল্লায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গত ১৭ বছর ধরে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার দিন শেষ। এবার জনগণ প্রতিটি ভোটেই তাদের জবাব দেবে। ভোটই হবে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে গণঅভিযোগের শক্তিশালী অস্ত্র। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। জনগণ যদি ভোটের শক্তি দেখায়, দেশ সঠিক পথে চলবে। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে বারবার বিপদে ফেলবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে যারা নতুন নতুন ফন্দি আঁটছে, তাদের স্বপ্ন ধূলোয় মিশে যাবে। কোনো বিদ্যমান বা অদৃশ্য শক্তি নির্বাচন থামাতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণার ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরেই তপশিল ঘোষণা করবে। এর বাইরে অন্য কোনো আলোচনা বা বিশৃঙ্খলার সুযো

জনগণের ভোটের আঘাতে সব ষড়যন্ত্র ধসে পড়বে : গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণের ভোটের আঘাতেই সব ষড়যন্ত্র ধসে পড়বে।  বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন পাড়া–মহল্লায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, গত ১৭ বছর ধরে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে জনগণের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার দিন শেষ। এবার জনগণ প্রতিটি ভোটেই তাদের জবাব দেবে। ভোটই হবে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে গণঅভিযোগের শক্তিশালী অস্ত্র। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। জনগণ যদি ভোটের শক্তি দেখায়, দেশ সঠিক পথে চলবে। অন্যথায় ষড়যন্ত্রকারীরা দেশটাকে বারবার বিপদে ফেলবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঠেকাতে যারা নতুন নতুন ফন্দি আঁটছে, তাদের স্বপ্ন ধূলোয় মিশে যাবে। কোনো বিদ্যমান বা অদৃশ্য শক্তি নির্বাচন থামাতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণার ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় নির্বাচন এবং নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরেই তপশিল ঘোষণা করবে। এর বাইরে অন্য কোনো আলোচনা বা বিশৃঙ্খলার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ইসলামকে ঢাল বানিয়ে রাজনীতি করে যারা ভোট চায়, তারা দেশ ও ধর্ম দুটোকেই অপমান করছে। এদের প্রতিহত করতে হবে। জনগণের ভোটে এটাই হবে তাদের শাস্তি। বাংলাদেশে ধর্ম কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। যারা ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। গয়েশ্বর বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং বীর শহীদদের আত্মত্যাগকে সামনে রেখে জনগণ সবসময় সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। যারা ধর্মের অপব্যবহার করে ভোটের মাঠে বিভাজন ঘটাতে চায়, তারা নিজেদের স্বার্থে ৭১-এর ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে। জনগণই তাদের থামিয়ে দেবে। তিনি বলেন, জনগণ যখন জেগে ওঠে, কোনো শক্তিই তাকে রুখতে পারে না। ধানের শীষের বিজয় থামানোর ক্ষমতা কারও নেই। ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমাদের এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। জনগণ যখন ভোট দেবে, ইতিহাস বদলে যাবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow