জামায়াত-এনসিপির আসন সমঝোতা, যা বলছে ৮ দলীয় জোট

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে ইসলামী আট দলীয় জোটের পরিসর আরও বাড়তে পারে। আট দলের নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যেসব দলের আসন সমঝোতা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে এনসিপিও যুক্ত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে আরও দু-একদিন সময় লাগবে। নেতারা জানান, মনোনয়ন উত্তোলনের শেষ দিন পর্যন্ত যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে প্রার্থী প্রত্যাহারের আগেই দলগুলোর মধ্যে আসনভিত্তিক সমঝোতায় পৌঁছানো হবে। নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত সেপ্টেম্বর থেকে ইসলামী আন্দোলন, জামায়াত ও খেলাফত মজলিসসহ আট দল রাজপথে সক্রিয় রয়েছে। এই আন্দোলনের ঐক্যকে নির্বাচনী মাঠে কাজে লাগাতে আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে কিছু সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসছে। আট দলের নেতারা আরও জানান, এনসিপিসহ কয়েকটি দল তাদের সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব আগ্রহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আট দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘অনেক দল

জামায়াত-এনসিপির আসন সমঝোতা, যা বলছে ৮ দলীয় জোট

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে ইসলামী আট দলীয় জোটের পরিসর আরও বাড়তে পারে। আট দলের নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে যেসব দলের আসন সমঝোতা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে এনসিপিও যুক্ত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে আরও দু-একদিন সময় লাগবে।

নেতারা জানান, মনোনয়ন উত্তোলনের শেষ দিন পর্যন্ত যদি সমঝোতা না হয়, তাহলে প্রার্থী প্রত্যাহারের আগেই দলগুলোর মধ্যে আসনভিত্তিক সমঝোতায় পৌঁছানো হবে।

নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা, ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার এবং নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত সেপ্টেম্বর থেকে ইসলামী আন্দোলন, জামায়াত ও খেলাফত মজলিসসহ আট দল রাজপথে সক্রিয় রয়েছে।

এই আন্দোলনের ঐক্যকে নির্বাচনী মাঠে কাজে লাগাতে আসনভিত্তিক সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে কিছু সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসছে।

আট দলের নেতারা আরও জানান, এনসিপিসহ কয়েকটি দল তাদের সঙ্গে নির্বাচনী আসন সমঝোতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব আগ্রহের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আট দলের মধ্যে আলোচনা চলছে।

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেন, ‘অনেক দলের সঙ্গে আমাদের আলাপ হচ্ছে এবং সেক্ষেত্রে এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। একটা চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে আমরা যাচ্ছি।’
 
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘এনসিপিসহ আরও দুটি পার্টি এলে আমি এটাকে পজিটিভলি দেখি। কারণ এতে করে আমাদের এ প্লাটফর্মটা বড় হলো।’

নতুন দলগুলোর জন্য যেকোনো ছাড় দিতে প্রস্তুত আছে জানিয়ে আট দলের নেতারা বলেন, অভ্যুত্থানের চেতনা সমুন্নত রাখতে এই ঐক্যবদ্ধ জোটকে আগামী সংসদে পাঠাবে ইসলামপ্রিয় মানুষ।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘তারা যদি আসে, আর এতে যদি আমাদের আসন কমও হয়, তাতে আমরা অসন্তুষ্ট না। বরং আমি মনে করি প্ল্যাটফর্ম বড় হলে আমরা নির্বাচনে ভালো ফলাফল করতে পারব। সেক্ষেত্রে আমাদের ছাড় দেয়ার মনোভাব আছে।’

আন্দোলনরত ৮ দলের সমন্বয়ক ও  জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক ইসলামি শক্তি। সবাইকে ইনক্লুড করেই জুলাই সনদের যে সংস্কারের হ্যাঁ-না ভোট আছে সেটাকে বিজয় করা। এবং আসন বিজয়ের মাধ্যমে সরকার গঠন ও দেশ গড়ার কাজ করব, ইনশাআল্লাহ।’

নতুন জোটের চূড়ান্ত ঘোষণা দু-একদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে বলেও জানান আট দলের নেতারা।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow