জেলেনস্কিকে আলটিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি প্রস্তাব ফাঁস হয়েছে। এ প্রস্তাব ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আগেই পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সম্মতির জন্য তিনি জেলেনস্কিকে আলটিমেটামও দিয়েছেন।  শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাতাংসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  এতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবে সম্মতি জানানোর জন্য জেলেনস্কিকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময়ের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া না মিললে প্রস্তাব থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাবে। এ ছাড়া ইউক্রেনের প্রতি যাবতীয় মার্কিন সমর্থন ও সহায়তাও বন্ধ হয়ে যাবে। ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ‘ভালো সম্পর্ক’ থাকায় তিনি ভাবতেন যুদ্ধ অনেক আগেই শেষ হবে। কিন্তু শীতের আগমন, বাড়তে থাকা প্রাণহানি এবং ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোর ওপর ধারাবাহিক হামলা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটি পরিকল্পনা আছে, যা ঘটছে তা ভয়াবহ। আমরা শান্তির পথে পৌঁছানোর একটি উপায় পেয়েছি বলে মনে করি। আর সেটি শেষ পর্যন্ত জেলেনস্কিকেই অনুমোদন করতে হবে। রয়টার্সে দেখা খসড়া অন

জেলেনস্কিকে আলটিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে একটি প্রস্তাব ফাঁস হয়েছে। এ প্রস্তাব ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আগেই পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সম্মতির জন্য তিনি জেলেনস্কিকে আলটিমেটামও দিয়েছেন। 

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বাতাংসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবে সম্মতি জানানোর জন্য জেলেনস্কিকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প। এ সময়ের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া না মিললে প্রস্তাব থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাবে। এ ছাড়া ইউক্রেনের প্রতি যাবতীয় মার্কিন সমর্থন ও সহায়তাও বন্ধ হয়ে যাবে।

ট্রাম্প বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার ‘ভালো সম্পর্ক’ থাকায় তিনি ভাবতেন যুদ্ধ অনেক আগেই শেষ হবে। কিন্তু শীতের আগমন, বাড়তে থাকা প্রাণহানি এবং ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোর ওপর ধারাবাহিক হামলা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটি পরিকল্পনা আছে, যা ঘটছে তা ভয়াবহ। আমরা শান্তির পথে পৌঁছানোর একটি উপায় পেয়েছি বলে মনে করি। আর সেটি শেষ পর্যন্ত জেলেনস্কিকেই অনুমোদন করতে হবে।

রয়টার্সে দেখা খসড়া অনুযায়ী ওয়াশিংটনের ২৮ দফার এই পরিকল্পনায় ইউক্রেনকে কিছু ভূখণ্ড ছাড় দেওয়া, সামরিক সক্ষমতায় সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়া এবং ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এতে এমন কিছু প্রস্তাবও রয়েছে যা মস্কো হয়তো আপত্তি করতে পারে—যেমন দখলকৃত কিছু এলাকা থেকে রুশ সেনাদের পিছু হটার শর্ত।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনা ‘চূড়ান্ত সমাধানের ভিত্তি’ হতে পারে। তবে তিনি দাবি করেন, কিয়েভ ও তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা ইউক্রেনে রাশিয়ার অগ্রগতির বাস্তবতা বুঝতে পারছে না।

অন্যদিকে জেলেনস্কি শুক্রবার সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন কোনো শান্তি পরিকল্পনা ইউক্রেনকে তার মর্যাদা ও স্বাধীনতা হারানোর ঝুঁকিতে ফেলতে পারে—এমনকি ওয়াশিংটনের সমর্থনও কমে যেতে পারে।

এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প জানান, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে বৈঠকের সময় তিনি জেলেনস্কিকে বলেছিলেন যে তিনি ‘নিজের শর্তে যুদ্ধ শেষ করার মতো কার্ড হাতে রাখেন না।’

ট্রাম্প বলেন, শেষ পর্যন্ত তাকে এমন কিছু মেনে নিতে হবে যা এখন পর্যন্ত তিনি মানতে চাননি। আমার মনে হয়, এক বছর আগে, দুই বছর আগে চুক্তি করা উচিত ছিল। সবচেয়ে ভালো চুক্তি হতো যদি এই যুদ্ধ কখনো শুরুই না হতো।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow