জেলেনস্কির প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান সহকারী ও চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাকের বাসস্থানসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিকবিদ্যুৎ কোম্পানি এনারগোআটম নিয়ে হওয়া দুর্নীতি তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে দেশটির জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী ব্যুরো (এনএবিইউ)। শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে এনএবিইউ জানিয়েছে, তল্লাশি তদন্তের অংশ হলেও এতে ইয়ারমাকের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা ভূমিকা উল্লেখ করা হয়নি। এনএবিইউ ও স্পেশাল অ্যান্টি–করাপশন প্রসিকিউটরস অফিস (এসএপিও) কয়েক সপ্তাহ ধরে এনারগোআটমকে ঘিরে দুর্নীতির মামলা তদন্ত করছে। এটি গত আড়াই বছরের মধ্যে ইউক্রেনে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত অভিযান। প্রায় ১৫ মাসের তদন্ত ও ১,০০০ ঘণ্টা অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণের পর তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এনারগোআটমের চুক্তিগুলোতে ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রতিটি চুক্তির ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ঘুষ নেওয়া হতো। এভাবে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এনএবিইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিছু ব

জেলেনস্কির প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান সহকারী ও চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাকের বাসস্থানসহ বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় পারমাণবিকবিদ্যুৎ কোম্পানি এনারগোআটম নিয়ে হওয়া দুর্নীতি তদন্তের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করে দেশটির জাতীয় দুর্নীতিবিরোধী ব্যুরো (এনএবিইউ)।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে এনএবিইউ জানিয়েছে, তল্লাশি তদন্তের অংশ হলেও এতে ইয়ারমাকের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা ভূমিকা উল্লেখ করা হয়নি।

এনএবিইউ ও স্পেশাল অ্যান্টি–করাপশন প্রসিকিউটরস অফিস (এসএপিও) কয়েক সপ্তাহ ধরে এনারগোআটমকে ঘিরে দুর্নীতির মামলা তদন্ত করছে। এটি গত আড়াই বছরের মধ্যে ইউক্রেনে শুরু হওয়া সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবিরোধী তদন্ত অভিযান।

প্রায় ১৫ মাসের তদন্ত ও ১,০০০ ঘণ্টা অডিও রেকর্ডিং বিশ্লেষণের পর তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এনারগোআটমের চুক্তিগুলোতে ঠিকাদারদের কাছ থেকে প্রতিটি চুক্তির ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ঘুষ নেওয়া হতো। এভাবে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এনএবিইউ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কিছু বহিরাগত ব্যক্তির হাতে বার্ষিক ৪ বিলিয়ন ইউরোর বেশি আয়ের একটি কৌশলগত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ ছিল। তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক পদ বা ক্ষমতা ছিল না।

তদন্ত বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় রুশ হামলায় বিদ্যুৎ স্থাপনাগুলোর প্রতিরক্ষা–কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারদের কাছ থেকেও ঘুষ নেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।

দুর্নীতির ঘটনা তদন্তে যাকে মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তিনি হলেন ব্যবসায়ী তিমুর মিনদিচ। তিনি প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাবেক ব্যবসায়িক অংশীদার ও ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।

দুর্নীতির অভিযোগে দেশটির জ্বালানি মন্ত্রী সভিতলানা হ্রিনচুক এবং সাবেক জ্বালানিমন্ত্রী ও সদ্য সাবেক বিচারমন্ত্রী হারমান হালুশচেঙ্কো এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন।

সূত্র : ইউরো নিউজ
কেএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow