জয়ের প্লট বাতিল করে যোগ্য আবেদনকারীদের পুনরায় বরাদ্দের নির্দেশ
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্লট বাতিল করে ভূমিহীন ও যোগ্য আবেদনকারীদের পুনরায় বরাদ্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মা-ছেলের বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এই মামলার রায়ে শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার ছেলে জয়কে একই আইন এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই রায়ের ফলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অনুকূলে বরাদ্দকৃত পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের প্লটের বরাদ্দটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব সালাহ উদ্দিনকে ৬ বছরের কারাদণ্ড, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক সচিব মো. শহীদুল্লাহ খন্দকার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিনসহ প্রত্যেককে ৬ বছরের কারাদণ্ডসহ রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তকে বিভিন্ন মেয়াদে (১ থেকে ৭ বছর) কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে। আদালত রাজউক ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পর্যবেক্ষণ জ
রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্লট বাতিল করে ভূমিহীন ও যোগ্য আবেদনকারীদের পুনরায় বরাদ্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মা-ছেলের বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এই মামলার রায়ে শেখ হাসিনাকে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে দোষী সাব্যস্ত করে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার ছেলে জয়কে একই আইন এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই রায়ের ফলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের অনুকূলে বরাদ্দকৃত পূর্বাচল নিউ টাউন প্রকল্পের প্লটের বরাদ্দটি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব সালাহ উদ্দিনকে ৬ বছরের কারাদণ্ড, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সাবেক সচিব মো. শহীদুল্লাহ খন্দকার ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিনসহ প্রত্যেককে ৬ বছরের কারাদণ্ডসহ রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তকে বিভিন্ন মেয়াদে (১ থেকে ৭ বছর) কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
আদালত রাজউক ও গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে কঠোর পর্যবেক্ষণ জারি করে বলেছেন যে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্য, মন্ত্রী এবং প্রভাবশালী আমলাদের পক্ষে প্লট বরাদ্দ করেছে, যা ‘এলিট ক্যাপচার’ বা অভিজাতদের দ্বারা ক্ষমতা দখলের প্রমাণ।
বলা হয়েছে, এই প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি বন্ধ করতে আদালত রাজউককে অবিলম্বে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের অপসারণ, সমস্ত বরাদ্দের ফরেনসিক অডিট ও ডিজিটাল লটারি সিস্টেম চালু করার নির্দেশ দিয়েছে এবং গৃহায়ন মন্ত্রণালয়কে ‘বিশেষ সুপারিশের বিধান’ বাতিল করতে বলা হয়েছে।
আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছেন যে, রাজউককে অতীতের সমস্ত অবৈধ প্লট পুনরুদ্ধার করে তা শুধুমাত্র ভূমিহীন নাগরিক ও যোগ্য আবেদনকারীদের কাছে পুনরায় বরাদ্দ দিতে হবে।
এমডিএএ/এমআইএইচএস/জেআইএম
What's Your Reaction?