ঝুঁকির মুখে ৭১ কিমি রেলপথে ট্রেন চলাচল 

বগুড়ায় রেলপথের দুই পাশের শত শত মরা গাছের কারণে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বগুড়ার সান্তাহার থেকে সোনাতলা পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার রেলপথের দুই পাশের বন বিভাগ ও প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা শত শত গাছের অবস্থা একই। এ কারণে, বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচলকারী ৫টি আন্তঃনগরসহ ১৬টি ট্রেন চলাচল রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। সেই হিসাবে বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচলকারী ১৬টি ট্রেনে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে বন বিভাগের লাগানো ইউক্যালিপটাস জাতের গাছগুলো মরে গিয়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। প্রায় ৫৩ কিলোমিটার দূরে ভেলুরপাড়া স্টেশনের পাশে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বিশাল একটি পাকুর গাছের গোড়া থেকে মাটি সরে গেছে। চলতি বছরের ৩০ মে ঝড়ে গভীর রাতে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় একটি গাছ উপড়ে পড়লে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। ঘটনার পর দিন রেলওয়ের পক্ষ থেকে বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে মরা গাছগুলো কেটে ফেলতে বলা হয়। এ নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে।  ট্রেনচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, উঁচু গাছের জন্য সিগন্যাল দেখতেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। সামাজিক

ঝুঁকির মুখে ৭১ কিমি রেলপথে ট্রেন চলাচল 

বগুড়ায় রেলপথের দুই পাশের শত শত মরা গাছের কারণে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বগুড়ার সান্তাহার থেকে সোনাতলা পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার রেলপথের দুই পাশের বন বিভাগ ও প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা শত শত গাছের অবস্থা একই। এ কারণে, বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচলকারী ৫টি আন্তঃনগরসহ ১৬টি ট্রেন চলাচল রীতিমতো বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। সেই হিসাবে বগুড়ার ওপর দিয়ে চলাচলকারী ১৬টি ট্রেনে প্রতিদিন অন্তত ২০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে বন বিভাগের লাগানো ইউক্যালিপটাস জাতের গাছগুলো মরে গিয়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। প্রায় ৫৩ কিলোমিটার দূরে ভেলুরপাড়া স্টেশনের পাশে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা বিশাল একটি পাকুর গাছের গোড়া থেকে মাটি সরে গেছে।

চলতি বছরের ৩০ মে ঝড়ে গভীর রাতে বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় একটি গাছ উপড়ে পড়লে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। ঘটনার পর দিন রেলওয়ের পক্ষ থেকে বন বিভাগকে চিঠি দিয়ে মরা গাছগুলো কেটে ফেলতে বলা হয়। এ নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

ট্রেনচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, উঁচু গাছের জন্য সিগন্যাল দেখতেও বিঘ্ন সৃষ্টি হয়।

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় প্রায় ২০ বছর আগে বন বিভাগের রোপণ করা গাছগুলো শর্ত অনুযায়ী ২০১৬ সালের মধ্যে কেটে নেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেই শর্ত শতভাগ মানা হয়নি।

বগুড়া রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আফজাল হোসেন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মরা গাছগুলোর কারণে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে বগুড়ার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান চিঠি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তারা কেবল ঝুঁকিপূর্ণ গাছগুলোই কাটবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow