টাকা দিতে না পেরে মালিকানা ছাড়লেন চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিক

গত বছরের বিপিএলে পারিশ্রমিক নিয়ে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল। যে কারণে এবারের বিপিএলে নিয়ে একটা শঙ্কা শুরু থেকেই ছিল। যার ফলে, বিসিবি খুব সতর্ক ছিল। ফ্রাঞ্চাইজির মালিকানা দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল, যাছাই-বাছাই করে ফ্রাঞ্চাইজি ঠিক করা হলো; কিন্তু শেষ পর্যন্ত শঙ্কাটাই সত্যি হলো। বিপিএল শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে বেঁকে বসলো চট্টগ্রাম রয়্যালসের ফ্রাঞ্চাইজি। বিসিবির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসের ফ্রাঞ্চাইজি মালিকানা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মালিক আবদুল কাইয়ুম। এ পরিস্থিতিতে ফ্রাঞ্চাইজিটির দায়িত্ব নিতে পারে বিসিবি। বিপিএল শুরুর আগের দিন মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন চট্টগ্রাম রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্বাধিকার। ঠিক এক ঘণ্টা আগে এ নিয়ে বিসিবিতে একটি চিঠি দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক আবদুল কাইয়ুম। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা চট্টগ্রামের টিমটি চালাতে অপারগ।’ উদ্বুত পরিস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দায়িত্ব নিলো বিসিবি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জাগোনিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্চাইজির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে কিছু প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। তাদের বিপক্ষে অর্থনৈতিক

টাকা দিতে না পেরে মালিকানা ছাড়লেন চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিক

গত বছরের বিপিএলে পারিশ্রমিক নিয়ে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল। যে কারণে এবারের বিপিএলে নিয়ে একটা শঙ্কা শুরু থেকেই ছিল। যার ফলে, বিসিবি খুব সতর্ক ছিল। ফ্রাঞ্চাইজির মালিকানা দেয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছিল, যাছাই-বাছাই করে ফ্রাঞ্চাইজি ঠিক করা হলো; কিন্তু শেষ পর্যন্ত শঙ্কাটাই সত্যি হলো।

বিপিএল শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগে বেঁকে বসলো চট্টগ্রাম রয়্যালসের ফ্রাঞ্চাইজি। বিসিবির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে চট্টগ্রাম রয়্যালসের ফ্রাঞ্চাইজি মালিকানা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মালিক আবদুল কাইয়ুম। এ পরিস্থিতিতে ফ্রাঞ্চাইজিটির দায়িত্ব নিতে পারে বিসিবি।

বিপিএল শুরুর আগের দিন মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন চট্টগ্রাম রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্বাধিকার। ঠিক এক ঘণ্টা আগে এ নিয়ে বিসিবিতে একটি চিঠি দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক আবদুল কাইয়ুম। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, ‘আমরা চট্টগ্রামের টিমটি চালাতে অপারগ।’ উদ্বুত পরিস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দায়িত্ব নিলো বিসিবি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইফতেখার রহমান মিঠু জাগোনিউজকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ফ্রাঞ্চাইজির দাবি, তাদের বিরুদ্ধে কিছু প্রোপাগান্ডা হচ্ছে। তাদের বিপক্ষে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠেছে। যে প্রোপাগান্ডার কারণে তাদের দাবি, তারা কাঙ্খিত মানের কোনো টিম স্পন্সর পাচ্ছে না। এ কারণে বাধ্য হয়ে, বোর্ডের কাছে চিঠি দিয়ে তারা জানিয়েছে, টিম চালাতে তারা অপারগ।’

তাহলে এই মুহূর্তে কী হবে বিপিএলের? যেহেতু টুর্নামেন্ট একেবারে নাকের ডগায়। ফরম্যাট চূড়ান্ত, ফিক্সশ্চার হয়ে গেছে। দলটির খেলোয়াড় চূড়ান্ত। সব মিলিয়ে এ মুহূর্তে একটি ফ্রাঞ্চাইজি বাদ দেয়া যাবে না। এ পরিস্থিতিতে কী হবে? জানতে চাইলে ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, ‘যেহেতু চট্টগ্রামের ফ্রাঞ্চাইজি বাদ দেয়া সম্ভব নয়। এ কারণে বিসিবি তাৎক্ষণিকভাবে এই ফ্রাঞ্চাইজিটির মালিকানা গ্রহণ করেছে।’

ট্রায়াঙ্গুল সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে চট্টগ্রাম রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজিটির দায়িত্ব দেয় বিসিবি। শুরু থেকেই নেতিবাচক কারণে দলটির নাম আলোচনায় ছিল।

ফ্র্যাঞ্চাইজিটির বিদেশি ক্রিকেটাররাও পারিশ্রমিক না পাওয়ায় আসতে চাইছেন না। ব্যাংক গ্যারান্টির পুরো টাকাও দেয়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। নিয়ম অনুযায়ী টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ক্রিকেটারদের ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা থাকলেও তাও দেয়নি তারা।

আগামীকাল দুপুরে সিলেট টাইটানস ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিপিএলের এবারের আসর। সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম রয়্যালসের মুখোমুখি হবে নোয়াখালী এক্সপ্রেস।

এআরবি/আইএইচএস/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow