টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে দুঃস্বপ্নময় প্লে-অফের মুখোমুখি ইতালি
ইতালিকে যেন কেউ মুক্তি দিচ্ছে না। প্রতি চার বছর পরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এলেই চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে এসে হাজির হয় একই দুঃস্বপ্ন—প্লে-অফে পড়া, অনিশ্চয়তার পথে হাঁটা, আর অপ্রত্যাশিত ব্যর্থতার আতঙ্ক। নরওয়ের বিপক্ষে দু’দফা হার তাদের আবারও ঠেলে দিয়েছে সেই পুরোনো অন্ধকার গহ্বরে। এবারও সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা হলো না গাত্তুসোর দলের; সামনে অপেক্ষা করছে দুটো এক ম্যাচের ‘ডু-অর-ডাই’ লড়াই। হারলেই টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। গেন্নারো গাত্তুসোর আগমনে ইতালিয়ান ফুটবল যেন নতুন উদ্দীপনা খুঁজেছিল। কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ছিল বেশি কঠিন। সান সিরোয় ১-৪ গোলে নরওয়ের কাছে ভেঙে পড়ার পরই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল—ইতালির পথ যাবে সেই ভয়ংকর মুখোমুখি লড়াইয়ের দিকে, যেখানে ভুলের কোনো জায়গাই নেই। আরও যেটা আশঙ্কা বাড়াচ্ছে, তা হলো অতীত ব্যর্থতার ইতিহাস। দুটি অভিশপ্ত প্লে-অফের স্মৃতি ২০১৮ সালে সুইডেনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র টেনে জিয়ামপিয়েরো ভেনচুরার ইতালি হারায় বিশ্বকাপের টিকিট। বুফন, কিয়েলিনিরাও সেদিন রুখতে পারেননি ১-০ ব্যবধানের প্রথম লেগের ক্ষত। চার বছর পর আরও ভয়ংকর ঘটনা। নিজ মাঠে উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে যোগ
ইতালিকে যেন কেউ মুক্তি দিচ্ছে না। প্রতি চার বছর পরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব এলেই চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সামনে এসে হাজির হয় একই দুঃস্বপ্ন—প্লে-অফে পড়া, অনিশ্চয়তার পথে হাঁটা, আর অপ্রত্যাশিত ব্যর্থতার আতঙ্ক। নরওয়ের বিপক্ষে দু’দফা হার তাদের আবারও ঠেলে দিয়েছে সেই পুরোনো অন্ধকার গহ্বরে। এবারও সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা হলো না গাত্তুসোর দলের; সামনে অপেক্ষা করছে দুটো এক ম্যাচের ‘ডু-অর-ডাই’ লড়াই। হারলেই টানা তৃতীয় বিশ্বকাপ থেকে বিদায়।
গেন্নারো গাত্তুসোর আগমনে ইতালিয়ান ফুটবল যেন নতুন উদ্দীপনা খুঁজেছিল। কিন্তু মাঠের বাস্তবতা ছিল বেশি কঠিন। সান সিরোয় ১-৪ গোলে নরওয়ের কাছে ভেঙে পড়ার পরই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল—ইতালির পথ যাবে সেই ভয়ংকর মুখোমুখি লড়াইয়ের দিকে, যেখানে ভুলের কোনো জায়গাই নেই। আরও যেটা আশঙ্কা বাড়াচ্ছে, তা হলো অতীত ব্যর্থতার ইতিহাস।
দুটি অভিশপ্ত প্লে-অফের স্মৃতি
২০১৮ সালে সুইডেনের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র টেনে জিয়ামপিয়েরো ভেনচুরার ইতালি হারায় বিশ্বকাপের টিকিট। বুফন, কিয়েলিনিরাও সেদিন রুখতে পারেননি ১-০ ব্যবধানের প্রথম লেগের ক্ষত।
চার বছর পর আরও ভয়ংকর ঘটনা। নিজ মাঠে উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে যোগ করা সময়ে গোল হজম করে কাতার বিশ্বকাপের স্বপ্নভঙ্গ। ইউরো জয়ীরা পরিণত হয় আরেক অপ্রত্যাশিত ট্র্যাজেডির নায়ক। এবারও সেই শঙ্কা জমাট বাঁধছে।
সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ আরও ভয়ংকর
মার্চ ২৬ থেকে ৩১—এই পাঁচ দিনের মধ্যে ইতালিকে জিততেই হবে দুটি ম্যাচ। সেগুলো কার বিরুদ্ধে হবে, সে রহস্য এখনো উন্মোচন করেনি উয়েফা। ড্রয়ের বাটখারায় যে প্রতিপক্ষ মিলতে পারে, তাতে ভয়টা আরও বাড়বেই।
তালিকায় রয়েছে ইউক্রেন, তুরস্ক, আয়ারল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, আলবেনিয়ার মতো দল। তাতে আবার যোগ হতে পারে জার্মানি, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রিয়ার মতো পরাশক্তিও। যে কারও বিপক্ষে পড়লেই ম্যাচটা হয়ে যাবে জীবন-মৃত্যুর লড়াই।
ইতালি ফের সেই চেনা মোড়ে দাঁড়িয়ে—ইউরোপীয় ফুটবলের এক ঐতিহ্য, অথচ তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে না খেলার বাস্তব হুমকির সামনে। এবার কি তারা অতীত থেকে শিক্ষা নেবে, নাকি পরিণতি হবে আবারও সেই হৃদয়বিদারক পরাজয়? পুরো ফুটবলবিশ্ব অপেক্ষায়।
What's Your Reaction?