ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় সেই ব্যবসায়ীকে

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালমারী ইউনিয়নের উত্তরটিলি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ইব্রাহিম (৩৪)। তিনি ঢাকায় ডাব ও বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছিলেন। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে ইব্রাহিম তার চাচাতো ভাই ও একই গ্রামের পিকআপভ্যানচালক মো. হোসেনের গাড়ি ভাড়া করে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া এলাকায় একটি হোটেলে তারা খাওয়ার জন্য থামেন। খাবার শেষে বিল পরিশোধ করতে গেলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এসে ইব্রাহিম ও হোসেনকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। গাড়িতে তোলার পর তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। কিছুক্ষণ পর তারা হোসেনকে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়, কিন্তু ইব্রাহিমকে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে চলে যায়। ভোরে নামাজে যাওয়ার পথে স্থানীয়রা আহত হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সুস্থ হয়ে তিনি ঢাকায় গিয়ে ইব্রাহিমের পরিবারকে ঘটনা জানায়। পিকআপচালক মো. হোসেন বলেন, আমি ও ইব্রাহিম ভাই একই গ্রামের বাসিন্দা। সে সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। আমাকে নিয়ে

ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় সেই ব্যবসায়ীকে

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত মরদেহের পরিচয় মিলেছে। নিহত ব্যক্তি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গোয়ালমারী ইউনিয়নের উত্তরটিলি গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ইব্রাহিম (৩৪)। তিনি ঢাকায় ডাব ও বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল ব্যবসায়ী ছিলেন।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর রাত ৩টার দিকে ইব্রাহিম তার চাচাতো ভাই ও একই গ্রামের পিকআপভ্যানচালক মো. হোসেনের গাড়ি ভাড়া করে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া এলাকায় একটি হোটেলে তারা খাওয়ার জন্য থামেন। খাবার শেষে বিল পরিশোধ করতে গেলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েকজন ব্যক্তি এসে ইব্রাহিম ও হোসেনকে একটি প্রাইভেটকারে তুলে নেয়। গাড়িতে তোলার পর তাদের হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। কিছুক্ষণ পর তারা হোসেনকে মারধর করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়, কিন্তু ইব্রাহিমকে নিয়ে অজ্ঞাতস্থানে চলে যায়। ভোরে নামাজে যাওয়ার পথে স্থানীয়রা আহত হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সুস্থ হয়ে তিনি ঢাকায় গিয়ে ইব্রাহিমের পরিবারকে ঘটনা জানায়।

পিকআপচালক মো. হোসেন বলেন, আমি ও ইব্রাহিম ভাই একই গ্রামের বাসিন্দা। সে সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। আমাকে নিয়ে সে ডাব ও কাঁচামাল কিনতে গোপালগঞ্জে উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে ভাটিয়াপাড়া এলাকার একটি হোটেলে বসে আমরা খাবার খাই। কিছু লোক ডিবি পোশাক পড়ে আমাদের ছবি তুলে নেয়। এরপর হোটেল থেকে বের হলেই আমাদের তারা প্রাইভেটকারে উঠিয়ে হাত পা বেঁধে ফেলে। পরে আমাকে বেদম মারপিট করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। এসময় ইব্রাহিমকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। ভোরে লোকজন নামাজ পড়তে বের হলে, আমাকে দেখে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে আমি ঢাকায় গিয়ে ইব্রাহিমের বাড়িতে খোঁজ দেই।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে মহাসড়কের পাশে পড়েছিল যুবকের মরদেহ

নিহতের ভাই ফরহাদ মোল্যা বলেন, আমার বড় ভাই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাব ও কাঁচামাল সংগ্রহ করে ঢাকায় বিক্রি করতেন। ডিবি পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিচার চাই। যারা আমার ভাইকে মেরে রাস্তার পাশে ফেলে গেছে, তাদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তি চাই।

তিনি আরও বলেন, যে হোটেলে তারা খাবার খেয়েছিলেন সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করলে অপরাধীদের শনাক্ত করতে সহজ হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিমুল বলেন, শনিবার বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে রোববার (২৩ নভেম্বর) ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছে। নিহতের ভাইয়ের দায়ের করা হত্যা মামলাটি গ্রহণ করা হয়েছে। ইব্রাহিম হত্যার প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটন ও আসামিদের শনাক্তে তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।

শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ফরিদপুরের মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর ব্রিজ এলাকায় মহাসড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এন কে বি নয়ন/এনএইচআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow