ডিসেম্বরে আসছে সাংবাদিক দম্পতির খুনের গল্পে নির্মিত ‘অমীমাংসিত’

একদিন রাতে নিজ বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি অর্ণব আর নিরু। কারা খুন করল তাদের? কিই-বা তাদের উদ্দেশ্য? সেই সাংবাদিক দম্পতির মৃত্যুরহস্য নিয়ে রায়হান রাফী বানিয়েছেন ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’। শুটিং শেষ হলেও অনেক দিন ধরে আটকে আছে সিনেমাটি। অবশেষে শেষ হচ্ছে প্রতীক্ষা। আগামী ডিসেম্বরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘অমীমাংসিত’। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি। তবে তৎকালীন সেন্সর বোর্ডের আপত্তির মুখে মুক্তি আটকে যায়। অবশেষে জট খুলতে যাচ্ছে রহস্যের। জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ৪ ডিসেম্বর আইস্ক্রিনে দেখা যাবে অমীমাংসিত। সিনেমার দুই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন। শুটিং শুরুর পর জানা গিয়েছিল, অমীমাংসিত তৈরি হচ্ছে সাংবাদিক দম্পতি হত্যার গল্প নিয়ে। তখনই অনেকে ধারণা করেছিলেন, এটি আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের গল্প। টিজার প্রকাশের পর সেই ধারণা আরও স্পষ্ট হয়। ৪০ সেকেন্ডের টিজারে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিখিত সংলাপ আকারে তুলে ধরা হয়েছে- ‘খুনগুলো হয়েছে আনুমানিক রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে। ধারণা করছি, এটা কোনো

ডিসেম্বরে আসছে সাংবাদিক দম্পতির খুনের গল্পে নির্মিত ‘অমীমাংসিত’

একদিন রাতে নিজ বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি অর্ণব আর নিরু। কারা খুন করল তাদের? কিই-বা তাদের উদ্দেশ্য? সেই সাংবাদিক দম্পতির মৃত্যুরহস্য নিয়ে রায়হান রাফী বানিয়েছেন ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’। শুটিং শেষ হলেও অনেক দিন ধরে আটকে আছে সিনেমাটি। অবশেষে শেষ হচ্ছে প্রতীক্ষা। আগামী ডিসেম্বরে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইস্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে ‘অমীমাংসিত’।

সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল গত বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি। তবে তৎকালীন সেন্সর বোর্ডের আপত্তির মুখে মুক্তি আটকে যায়। অবশেষে জট খুলতে যাচ্ছে রহস্যের। জানা গেছে, সব ঠিক থাকলে আগামী ৪ ডিসেম্বর আইস্ক্রিনে দেখা যাবে অমীমাংসিত। সিনেমার দুই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন।

শুটিং শুরুর পর জানা গিয়েছিল, অমীমাংসিত তৈরি হচ্ছে সাংবাদিক দম্পতি হত্যার গল্প নিয়ে। তখনই অনেকে ধারণা করেছিলেন, এটি আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের গল্প। টিজার প্রকাশের পর সেই ধারণা আরও স্পষ্ট হয়। ৪০ সেকেন্ডের টিজারে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিখিত সংলাপ আকারে তুলে ধরা হয়েছে- ‘খুনগুলো হয়েছে আনুমানিক রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে। ধারণা করছি, এটা কোনো চুরি-ডাকাতির কেস...’, ‘সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন সবাই ক্রাইম জোনের আলামত নষ্ট করেছে। আমার করার কী ছিল’, ‘ওদের কেউ মারেনি। ওরা নিজেরাই নিজেদের খুন করেছে’, ‘এটা নিশ্চিত পরকীয়া কেস! নইলে সেদিন...’।

টিজার প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে তৎকালীন সেন্সর বোর্ড। জানিয়ে দেওয়া হয়, ওটিটি কনটেন্ট হলেও এটি মুক্তির জন্য সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র নিতে হবে। দুই দফা দেখার পর গত বছর এপ্রিলে সেন্সর বোর্ড জানিয়ে দেয়, সিনেমাটি প্রদর্শনীর যোগ্য নয়।

গত বছর আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেন্সর বোর্ড বিলুপ্ত করে গঠন করা হয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড। এরপর অমীমাংসিতসহ আটকে থাকা সিনেমাগুলো খুঁজে পায় আশার আলো। ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য আপিল করে অমীমাংসিত সিনেমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তির অনুমতি পায় সিনেমাটি।

অমীমাংসিত আসলেই সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না পরিচালক বা প্রযোজক। অন্যদিকে সেন্সর বোর্ডের আটকে দেওয়ার ঘটনা দর্শকের মনে জাগিয়েছে প্রশ্ন। সব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে এবার, ডিসেম্বরে সিনেমা মুক্তির পর।

এমআই/এমএমএফ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow