ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মৌচাক এলাকায় কোরেশ বাংলাদেশ পিএলসি লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা অন্দোলন শুরু করেন। এসময় তারা সড়কে আগুন ধরিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধ ঘোষণার খবরে আন্দোলনে নামেন তারা।  শ্রমিকদের অভিযোগ, কয়েক মাসের বেতন বকেয়া রেখেই মালিকপক্ষ আকস্মিকভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া বকেয়া পরিশোধ না করে শতাধিক শ্রমিক ছাঁটাই করে দিয়েছেন। পাওনা টাকা না দিয়ে কারখানা বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রথমে কারখানার সামনে একত্র হয়। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় শ্রমিকরা বাঁশ ও কলাগাছে আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়কের উভয়পাশে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। তীব্র যানজটে পড়ে চরম ভোগা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দুপাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত মৌচাক এলাকায় কোরেশ বাংলাদেশ পিএলসি লিমিটেড কারখানার শ্রমিকরা অন্দোলন শুরু করেন। এসময় তারা সড়কে আগুন ধরিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে শ্রমিক ছাঁটাই ও কারখানা বন্ধ ঘোষণার খবরে আন্দোলনে নামেন তারা।  শ্রমিকদের অভিযোগ, কয়েক মাসের বেতন বকেয়া রেখেই মালিকপক্ষ আকস্মিকভাবে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করার চেষ্টা করছেন। তাছাড়া বকেয়া পরিশোধ না করে শতাধিক শ্রমিক ছাঁটাই করে দিয়েছেন। পাওনা টাকা না দিয়ে কারখানা বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা প্রথমে কারখানার সামনে একত্র হয়। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক এলাকায় অবস্থান নেন। এসময় শ্রমিকরা বাঁশ ও কলাগাছে আগুন ধরিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সড়কের উভয়পাশে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। তীব্র যানজটে পড়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রী সাধারণ।   সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই জুলহাস উদ্দিন ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল বারিক ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বয়েকা পরিশোধের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কারখানার পরিচালক মশিউর রহমান বলেন, কেবলমাত্র গতমাসের বেতন বকেয়া। বিষয়টি সমাধানে কারখানা কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। কিন্তু এরই মধ্যে বাইরের কেউ কেউ ইন্ধন দিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করতে কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলে গুজব ছড়ায়। আমরা শ্রমিকদের নিয়েই বিষয়টি সমাধান করবো। দ্রুত শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হবে। হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ টিআই জুলহাস উদ্দিন বলেন, পাওনা টাকার জন্য শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।   সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল বারিক বলেন, মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সেলিম বাদশা বলেন, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক চলমান রয়েছে। এ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।    

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow